সৌদী আরবের তেল স্থাপনায় সম্প্রতি যে আক্রমণ চালান হয়, সে সম্পর্কে, সোমবার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে অবহিত করেন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক নেতারা। ওই বৈঠকের পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার টুইটারে বলেন: “যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী, আমাদের ইন্টার এজেন্সি টিম সহ শরিকদের সঙ্গে কাজ করছি এই অভূতপূর্ব আক্রমণ বিষয়ে এবং আন্তর্জাতিক নিয়মবিধি ভিত্তিক শৃঙ্খলা রক্ষা করছি। ইরান ওই নিয়মবিধি লঙ্ঘন করছে।”
ওদিকে ইরান যে দাবী করেছে যে সৌদী আরবের তেল স্থাপনায় ড্রোন আক্রমণে তাদের কোন হাত ছিল না, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প, সোমবার সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তেল স্থাপনায় ড্রোন আক্রমণের ফলে সৌদী আরবের তেল উৎপাদনের প্রায় অর্ধেক এখন বন্ধ।
ট্রাম্প টুইটারে বলেন আপনাদের মনে আছে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করে এবং জেনেশুনে বলেছে যে ড্রোনটি তাদের আকাশসীমায় ছিল। কিন্তু তারা ভাল করেই জানতো যে ওই ড্রোন তাদের আকাশ সীমার কাছে ধারে ছিল না। তারা জানতো যে সেটা একটা মিথ্যে তবু তারা জোর দিয়ে একই কথা বার বার বলেছে। এখন তারা বলছে সৌদী আরবে আক্রমণে তাদের হাত ছিল না। দেখা যাক।
সৌদী সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র বলেছেন প্রাথমিক তদন্তে এই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে আক্রমণে ইরানী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা দাবী করেছে যে তারা আক্রমণের জন্য দায়ী। ওই হামলার ফলে প্রতিদিন তেল উৎপাদন ৫৭ লক্ষ ব্যারেল কমেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পমপেও কোন তথ্য প্রমাণ ছাড়া ইরানীদের দোষ দিয়েছেন এবং ইয়েমেনের ভেতর থেকে হামলা চালানো হতে পারে তিনি সেই সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন।