পশ্চিম বঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের নজরের বাইরে থাকতে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে উস্কানিমূলক মন্তব্য করার সময় বাড়ছে বিভিন্ন ধরনের ‘কোড ওয়ার্ডের’ ব্যবহার। সাঙ্কেতিক ভাষা ব্যবহার করে এই ধরনের কার্যকলাপে জড়িত ব্যক্তিরা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখছে। সেক্ষেত্রে বহু সময় এর অর্থ বুঝতে গিয়ে নাজেহাল হতে হয় প্রশাসনিক আধিকারিকদের।
অনেক সময় দেখা যাচ্ছে সাংকেতিক ভাষা অর্থাৎ যে কোড ব্যবহার করা হচ্ছে তা বুঝতে না পেরে মাঝপথেই হাল ছেড়ে দিচ্ছেন তদন্তকারী অফিসাররা। ফলে কোডের অর্থ অনেক ক্ষেত্রেই অজানা থেকে যাচ্ছে। বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের ডিজিদের নিয়ে বৈঠকে এই ‘কোড’ কীভাবে ‘ডিকোড’ করা যায়, তার উপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে সমস্ত রাজ্যকে। সোশ্যাল নেটওয়াকিং সাইটের মাধ্যমে উস্কানিমূলক বা হিংসা ছড়ানোর কোনও ঘটনা পুলিসের নজরে এলে, সেখানে কোনও বিশেষ সাঙ্কেতিক ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে কি না, তা দেখতে রাজ্য পুলিসের শীর্ষস্তর থেকে প্রতিটি জেলাকেই বিশেষভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটকে ব্যবহার করে যেভাবে বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি বা হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে, তাতে রীতিমতো উদ্বিগ্ন পশ্চিম বঙ্গের রাজ্য প্রশাসন। প্রসঙ্গত বলা যেতে পারে কিছুদিন আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে দিল্লিতে সমস্ত রাজ্যের ডিজিদের নিয়ে যে বৈঠক হয়, সেখানেও এই বিষয়টি উঠে আসে। কীভাবে এর মোকাবিলা করা যায়, তা নিয়ে বিভিন্ন প্রস্তাব উঠে আসে। তার ভিত্তিতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলা হয়। যাতে এই ধরনের ঘটনা যারা ঘটাচ্ছে তাদের প্রতি বার্তা দেওয়া যায়।