জাতিসংঘের সালিশ নিস্পত্তি আদালতের ঐতিহাসিক এক রায়ে দক্ষিন চীন সাগরের ওপর চীনের অঞ্চলগত দাবিদাওয়া নাকচ করে বলা হয়েছে- বিশাল ঐ সাগরপথের নৌ চলাচল অধিকার নিয়ে ঐতিহাসিক কোনো দলিল তার নেই।
হেইগের স্হায়ি সালিশ নিস্পত্তি আদালতের ঐ রায়ে ২ হাজার তেরো সালে ফিলিপাইন্সের উত্থাপিত নালিশের জবাবে এ নিস্পত্তির কথা বলা হয়েছে। ফিলিপাইন্সের অভিযোগনামায় বেযিংয়ের নামে আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন UNCLOS লংঘনের অভিযোগ করা হয়- বলা হয়,ফিলিপাইন্স উপকূলের প্রায় ২ শ’ ২৫ কিলোমিটার দূরবর্তী একটি শৈলশ্রেনীতে চড়া বা স্কারবরো বালুচরে চীনের আগ্রাসী তৎপরতায় ঐ লংঘন ঘটে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি যিনপিং রায় প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন- দক্ষিন চীন সাগরে চীনের আঞ্চলিক স্বার্বভৌমত্ব এবং সমুদ্র পথের নৌ-চলাচল সংশ্লিষ্ট স্বার্থাদি সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে এতে করে কোনোই হেরফের হবে না।
হেইগের ঐ ঘোষনার পর পরই মানিলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে ফিলিপাইন্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রী পারফেক্টো ইয়াসে ঐ রায়কে ঐতিহাসিক বলে অভিহিত করেছেন।
এখানে যুক্তরাষ্ট্রে, পররাষ্ট্র দফতরের মূখপাত্র জন কার্বী এ রায়কে দক্ষিন চীন সাগরের বিরোধের ক্ষেত্রে শান্তিপুর্ণ নিস্পত্তির লক্ষাভিমুখি গুরুত্বপুর্ন- অভিন্ন এক অর্জন বলে বর্ননা করেন।