শ্রীলংকায় আজ ইস্টার সানডেতে কয়েকটি খৃষ্টান উপাসনালয়- চার্চে এবং কয়েকটি হোটেলে সংঘটিত বোমা বিস্ফোরণে দু’শয়েরও বেশি লোকের প্রাণহানি হয়েছে এবং এতে জখম হয়েছেন চার শ’য়েরও বেশি মানুষ – জানিয়েছেন দেশটির সরকারী কর্মকর্তারা । বলা হচ্ছে- নিহতদের ভেতর বিদেশি লোকজনও রয়েছেন । এ ঘটনার প্রেক্ষিতে সরকার দেশটিতে অবিলম্বে কার্ফু বলবতের ঘোষনা দিয়েছে ।দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে বলা হ’য়েছে- প্রধান প্রধান সামাজিক গণ মাধ্যম এবং বার্তা সম্প্রচার উপযোগী এ্যাপ সুত্রগুলোও আটকিয়ে দেওয়া হ’য়েছে যাতে ভুল তথ্য বা গুজব ছড়াতে না পারে ।আজ রবিবার সকালে তিনটি চার্চ এবং তিনটি হোটেলে- ৬টি বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়।প্রথম দফার ৬টি বিস্ফোরণের পর আরো দু’টি বিস্ফোরণের খবর শোনা গিয়েছে। এর একটি ঘটে রাজধানীর অদূরে দেহিওয়ালায় এবং অপরটি ঘটে দেমাতাগোদায় । প্রধানমন্ত্রী রাণীল য়ূক্রেমেসিংহে হতাহতদের পরিবার পরিজনের উদ্দেশে সমবেদনা প্রকাশ ক’রেছেন – ব’লেছেন, আমি এটাকে একটা বড়ো মাপের সংকটরুপে গন্য ক’রছি – যার ফলোদয়ে দেশটিতে, অর্থনীতিতে অস্থিতিশীলতার উদ্ভব ঘটতে পারে । বলেন – ধর্মীয় উপাসনালয় এবং বিলাসবহুল হোটেলে সংঘটিত এসব বিস্ফোরণে আমি কঠোর ভাষায় ধিক্কার জানাচ্ছি । সাংবাদিক সকাশে তিনি বলেন – দেশের আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থা সুস্থিত রাখতে আমাদের সবাইকেই সচেষ্ট রইতে হবে ।বার্তা সংস্থা জনৈক নিরাপত্তা কর্মির উক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে ব’লেছেন – এর ভেতর দু’টি বিস্ফোরণ আত্মঘাতি বোমাবাজের কাজ হয়ে থাকতে পারে । প্রথম দফার বিস্ফোরণ ঘটে কলোম্বোয়, সেইন্ট এ্যান্টনীয চার্চে এবং উল্লেখিত হোটেলগুলোর সব ক’টিতে । বাদবাকি চার্চগুলোর মধ্যে রয়েছে নেগোমবোর সেইন্ট সেবাসটিয়ান চার্চ এবং বাত্তিকালোয়ার যিওন চার্চ ।এসব বিস্ফোরণের দায় দায়িত্ব কোনো তরফেই কোনো রকম দাবি করার কথা জানা যায়নি ।যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প টুইট বার্তায় শ্রীলংকার জনগণের জন্যে যুক্তরাষ্ট্রের জনগনের হৃদয় নিঙ্ড়ানো সহানূভূতির কথা ব্যক্ত ক’রেছেন – বলেছেন, আমরা সহায়তার হাত বাড়িয়ে প্রস্তুত রইলাম ।
|
|