কর্মচারী অধিকার সংরক্ষণে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের বানিজ্য সুবিধা স্থগিত করার সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ অসন্তুষ্ট হয়েছে।
শুক্রবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে দুই মাস আগে ঢাকায় একটি পোষাক কারখানা ধ্বসে বারো শ’র ও বেশী মানুষ নিহত হওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে কঠিন বাছাই প্রক্রিয়ায় রাখার পর কারখানা নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ সুস্পষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন , আমাদের ঢাকা সংবাদদাতা মতিউর রহমান চৌধুরী
US-Bangladesh MRC
বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তের অর্থ হচ্ছে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানীতে শুল্কমুক্ত সুবিধা হারাবে।
উন্নয়নশীল জাতি সমূহের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে যুক্তরাষ্ট্রের জেনারালাইজড সিষ্টেম অব প্রেফারেন্স প্রোগ্রাম-জিএসপি-এর একটি অংশ হচ্ছে শুল্কমুক্ত সুবিধা।
যদিও পোষাক শিল্প এই জিএসপি’র আওতায় পড়ে না, তবুও যেখানে বাংলাদেশ বিদেশী প্রতিষ্ঠানসমূহকে প্রাণপণে বোঝানোর চেষ্টা করছে যে কারখানা নিরাপত্তা বাড়ানোর জোর প্রচেষ্টা চলছে সেখানে এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ সরকারের জন্য বিব্রতকর।
যুক্তরাষ্ট্রের বানিজ্য প্রতিনিধি মাইকেল ফ্রোম্যান বলেন কারখানা ধ্বংসের মত দু:খজনক ঘটনা যেনো এড়ানো যায় তা নিশ্চিত করা ও পোষাক শ্রমিকদের অধিকার উন্নয়ন এবং বানিজ্য সুবিধা পুন:স্থাপনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে নতুন ভাবে আলোচনা করবে।
বাংলাদেশের প্রায় ৪০ লক্ষ পোষাক শ্রমিকের ৪০ শতাংশই নারী যাদের অধিকাংশের বয়স ১৮থেকে ২৫ বছর। পোষাক শ্রমিকদের মাসে আয় ৩৮ ডলার যা পোপ ফ্রান্সিসের কথায় দাস শমের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ন।