সিরিয়ায় হাজার হাজার লোক সমাবেশে মিলিত হয়ে প্রেসিডেন্ট আসাদের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। আগের দিনই প্রেসিডেন্ট আসাদ জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে দেশের বর্তমান অসন্তোষ পরিস্থিতির জন্যে ষড়যন্ত্রকারীদেরকে দোষারোপ করেন। তিনি বলেন, সিরিয়ার অবস্থানগত গুরুত্বের কারণে বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র করে দেশে অসন্তোষে ইন্ধন জোগানো হচ্ছে।
রাজনৈতিক সংস্কারের লক্ষে তিনি তাঁর পরিকল্পনার রূপপরেখা তুলে ধরেন।
প্রেসিডেন্ট আসাদের সমর্থনে সমাবেশ হয় রাজধানী দামেস্কে দেশের অন্যান্য শহর-জনপদেও একই ধরনের সমাবেশ হওয়ার সংবাদচিত্র দেখানো হয় টেলিভিশনের পর্দায়। মঙ্গলবারেই রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার পরিবেশিত খবরে বলা হয় প্রেসিডেন্ট আসাদ ২০ শে জুনের আগে সংঘটিত অপরাধ তত্পরতার জন্যে সাধারণ ক্ষমা ঘোষনা করেছেন। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।
প্রেসিডেন্ট আসাদ তাঁর ঐ সোমবারের ৭০ মিনিটের ভাষণে সংসদীয় নির্বাচনের নতুন আইন বিধি, সংবাদ মাধ্যম এবং সিরিয়ার সংবিধানের সম্ভাব্য সংস্কার নিয়ে পর্যালোচনার জন্যে জাতীয় ভিত্তিতে সংলাপ অনুষ্ঠানের প্রস্তাব দেন।
প্রতিবাদ সংগ্রামিরা কালবিলম্ব না করেই এসব প্রতিশ্রুতি নাকচ করে দেন। তিনি বলেন গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের লক্ষে তিন মাস যাবত যে আন্দোলন চলে আসছে, এসব বক্তব্যে তার নিরসনকল্পে কোনো কিছুরই উল্লেখ নেই।
ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস বলছে অসন্তোষ বিক্ষুদ্ধ অঞ্চলগুলোয় ত্রাণ কর্মিদের যেতে দিতে সিরীয় কর্মকর্তারা রাজি হয়েছেন। রেড ক্রস প্রেসিডেণ্ট জ্যাকোব কেলেনবার্গার এবং সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী আদেল সাফারের মধ্যে বৈঠকের পর এ মতৈক্য হয়েছে।