গত মাসে সিরিয়ায় বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহার বিষয়ে জাতিসংঘ তদন্ত দলের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন তারা সন্দেহাতীতভাবে নিশ্চিত হয়েছেন যে সেখানে বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহৃত হয়েছে। জাতিসংঘ থেকে রিপোর্ট করছেন ভয়েস অব আমেরিকার মার্গারেট বেশির। রিপোর্টটি নিয়ে আলোচনা করছেন রোকেয়া হায়দার এবং সেলিম হোসেন:
জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন, রুদ্ধদ্বার বৈঠকে জাতিসংঘের ১৫ জাতি নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদেরকে সিরিয়া পরিস্থিতি অবহিত করলেন। তদন্ত দলের নেতা সুইডেনের বিজ্ঞানী আকে সেলষ্ট্রোমও Ake Sellstrom সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
পরে মহাসচিব সাংবাদিকদের বলেন, ২১শে আগষ্ট সিরিয়ার ঘৌতা’য় Ghouta কি ঘটেছিল সে সম্পর্কে পক্ষপাতহীন, স্বাধীন একটি প্রতিবেদন বিশ্বের কাছে উপস্থাপন করেছে জাতিসংঘ তদন্ত দলটি।
বান কি মুন বলেন, “রক্ত পরীক্ষার ফলাফলে পঁচাশি শতাংশই সারিনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। পরিবেশ পরীক্ষায়ও বেশী অংশেই সারিনের উপস্থিতির প্রমান মিলেছে। সেখানে প্রাপ্ত, ব্যবহৃত রকেট অথবা রকেটের অংশ পরীক্ষা করে দেখা গেছে প্রায় সবগুলোই সারিন বহন করছিলো। ফলাফলে কোন প্রকার সন্দেহ বা অষ্পষ্টতার অবকাশ নেই”।
তিনি বলেন ১৯৮৮ সালে ইরাকী প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হুসেইন শত সহস্র ইরাকী জনগনর ওপর রাসায়নিক গ্যাস প্রয়োগ করার পর থেকেই মূলত রাসায়নিক গ্যাস ব্যবহার শুরু হয়।
সিরিয়ার ঘৌতা এলাকায় সন্দেহজনক রাসায়নিক অস্ত্র হামলার দিন কয়েক পরই জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ তদন্ত দল সেখানে যান এবং তদন্ত করেন। সোমবার তারা তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। প্রতিবেদনে বলা হয় সেখানকার ৩৪ জন রোগীর রক্ত ও মুত্র পরীক্ষা করা হয়েছে, যাতে সারিন গ্যাসে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার লক্ষণ মিলেছে। স্থানীয় পরিবেশের ওপরও তদন্ত দল ৩০টি নমুনা সংগ্রহ করেন, যার সবগুলোই সারিন গ্যাসের উপস্থেতি নিশ্চিত করেছে। তারা সেদিন সেখানে আক্রান্ত অর্ধ শতাধিক মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তারা।
তদন্ত দলটি রাসায়নিক অস্ত্র বহন করতে সক্ষম সেখানে প্রাপ্ত এমন কিছু রকেট পরীক্ষা করেন। প্রতিবেদন শেষ হয় এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে যে, ‘রকেট বা রকেটের অংশের বেশীর ভাগই সারিন বহনকারী’।
জাতিসংঘ তদন্ত দলটির মূল কাজ ছিল রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে কি না তা তদন্ত করা, কে বা কারা তা ব্যবহার করেছিল সেটি তাদের কাজ নয়। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সের রাস্ট্রদূতগণ সাংবাদিকদের বলেন, সেখানে ব্যবহৃত সারিন গ্যাস, অন্যান্য অস্ত্র এবং রকেটের উৎক্ষেপন পথ দেখে মনে হচ্ছে সরকারই এ হামলা চালিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত সামান্থা পাওয়ার Samantha Power বলেন:
“আমরা জানি ২১ আগষ্টের হামলায় সারিন গ্যাসের উপস্থিতি রয়েছে আগে এমন কথাকে গুজববলে তা বিশ্বাস করেন নি। তবে এখন ড. সেলেষ্ট্রোমের তদন্ত প্রতিবেদনে নিশ্চিত প্রমান মিলেছে। এটি বিবেচনায় আনা খুবই গুরুত্বপূর্ন যে সিরিয়া সরকারের দখলে সারিন রয়েছে এবং বিরোধী পক্ষের দখলে সারিন আছে তার কোনো প্রমান নেই্”।
তবে রুশ রাষ্ট্রদূত ভিটালি চুরকিন বলেন, বাশার আল আসাদ সরকারের পাশাপাশি বিরোধী পক্ষের যোদ্ধাদের ওপরও বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগই গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা প্রয়োজন।
রাশিয়া এখনো বিশ্বাস করে যে ২১ আগষ্টের রাসায়নিক হামলার জন্য সিরিয়ার সরকার বিরোধীরা জড়িত। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই লাভ্রভ ও ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লরা ফেবিয়া মঙ্গলবার মস্কোয় এক আলোচনা সভায় মিলিত হওয়ার পর গনমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদ প্রচারিত হয়। মস্কো থেকে জেসিকা গলোহার Jessica Gollohar তার রিপোর্টে বলেন,
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই লাভ্রভ বলেছেন ২১ আগষ্টের দামেস্কের হামলাটি ছিল সিরিয়ার সরকার বিরোধদের একটি উস্কানী।
“এটি বিশ্বাস করার যথৈষ্ট কারন রয়েছে যে সরকারবিরোধরিা এটি ঘটাতে পারে। এরও সুষ্টূ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন”।
তিনি বলেন সরকারই যেতা ঘটিয়েছে তার পক্ষেও এখনো যথেষ্ট প্রমানাদি সংগৃহীত হয়নি।
জাতিসংঘ তদন্ত দল যখন তাদের রিপোর্টে ষ্পষ্ট বলেছে যে ২১ আগষ্ট সারিন গ্যাস ব্যবহার করে ৪০০জন শিশু সহ ১৪০০ মানুষ হত্যার প্রচুর প্রমান মিলেছে, তার একদিন পরই রাশিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করলেন।
তবে ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লরা ফেবিয়া Laurent fabius বলেছেন সিরিয়ার সরকারই যে সে হামলা ঘটিয়েছিল সে ব্যপারে কোনো সন্দেহ নেই।
“যদি কেউ লক্ষ্য করেন কি পারিমানে সারিন গ্যাস সেদিন ব্যবহার করা হয়েছিল, তবে আর কারো কোনো সন্দেহ থাকার কথা নয় যে সরকারই তা ঘটিয়েছিল”।
এখন সিরিয়া সরকারের রাসায়নিক অস্ত্র ভান্ডার আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রনে সমর্পন করার ব্যপারে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যকার চুক্তি বাস্তবায়নে শীঘ্রই নিরাপত্তা পরিষদের কাজ শুরু হচ্ছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন, রুদ্ধদ্বার বৈঠকে জাতিসংঘের ১৫ জাতি নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদেরকে সিরিয়া পরিস্থিতি অবহিত করলেন। তদন্ত দলের নেতা সুইডেনের বিজ্ঞানী আকে সেলষ্ট্রোমও Ake Sellstrom সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
পরে মহাসচিব সাংবাদিকদের বলেন, ২১শে আগষ্ট সিরিয়ার ঘৌতা’য় Ghouta কি ঘটেছিল সে সম্পর্কে পক্ষপাতহীন, স্বাধীন একটি প্রতিবেদন বিশ্বের কাছে উপস্থাপন করেছে জাতিসংঘ তদন্ত দলটি।
বান কি মুন বলেন, “রক্ত পরীক্ষার ফলাফলে পঁচাশি শতাংশই সারিনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। পরিবেশ পরীক্ষায়ও বেশী অংশেই সারিনের উপস্থিতির প্রমান মিলেছে। সেখানে প্রাপ্ত, ব্যবহৃত রকেট অথবা রকেটের অংশ পরীক্ষা করে দেখা গেছে প্রায় সবগুলোই সারিন বহন করছিলো। ফলাফলে কোন প্রকার সন্দেহ বা অষ্পষ্টতার অবকাশ নেই”।
তিনি বলেন ১৯৮৮ সালে ইরাকী প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হুসেইন শত সহস্র ইরাকী জনগনর ওপর রাসায়নিক গ্যাস প্রয়োগ করার পর থেকেই মূলত রাসায়নিক গ্যাস ব্যবহার শুরু হয়।
সিরিয়ার ঘৌতা এলাকায় সন্দেহজনক রাসায়নিক অস্ত্র হামলার দিন কয়েক পরই জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ তদন্ত দল সেখানে যান এবং তদন্ত করেন। সোমবার তারা তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। প্রতিবেদনে বলা হয় সেখানকার ৩৪ জন রোগীর রক্ত ও মুত্র পরীক্ষা করা হয়েছে, যাতে সারিন গ্যাসে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার লক্ষণ মিলেছে। স্থানীয় পরিবেশের ওপরও তদন্ত দল ৩০টি নমুনা সংগ্রহ করেন, যার সবগুলোই সারিন গ্যাসের উপস্থেতি নিশ্চিত করেছে। তারা সেদিন সেখানে আক্রান্ত অর্ধ শতাধিক মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তারা।
তদন্ত দলটি রাসায়নিক অস্ত্র বহন করতে সক্ষম সেখানে প্রাপ্ত এমন কিছু রকেট পরীক্ষা করেন। প্রতিবেদন শেষ হয় এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে যে, ‘রকেট বা রকেটের অংশের বেশীর ভাগই সারিন বহনকারী’।
জাতিসংঘ তদন্ত দলটির মূল কাজ ছিল রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে কি না তা তদন্ত করা, কে বা কারা তা ব্যবহার করেছিল সেটি তাদের কাজ নয়। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সের রাস্ট্রদূতগণ সাংবাদিকদের বলেন, সেখানে ব্যবহৃত সারিন গ্যাস, অন্যান্য অস্ত্র এবং রকেটের উৎক্ষেপন পথ দেখে মনে হচ্ছে সরকারই এ হামলা চালিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত সামান্থা পাওয়ার Samantha Power বলেন:
“আমরা জানি ২১ আগষ্টের হামলায় সারিন গ্যাসের উপস্থিতি রয়েছে আগে এমন কথাকে গুজববলে তা বিশ্বাস করেন নি। তবে এখন ড. সেলেষ্ট্রোমের তদন্ত প্রতিবেদনে নিশ্চিত প্রমান মিলেছে। এটি বিবেচনায় আনা খুবই গুরুত্বপূর্ন যে সিরিয়া সরকারের দখলে সারিন রয়েছে এবং বিরোধী পক্ষের দখলে সারিন আছে তার কোনো প্রমান নেই্”।
তবে রুশ রাষ্ট্রদূত ভিটালি চুরকিন বলেন, বাশার আল আসাদ সরকারের পাশাপাশি বিরোধী পক্ষের যোদ্ধাদের ওপরও বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগই গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা প্রয়োজন।
রাশিয়া এখনো বিশ্বাস করে যে ২১ আগষ্টের রাসায়নিক হামলার জন্য সিরিয়ার সরকার বিরোধীরা জড়িত। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই লাভ্রভ ও ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লরা ফেবিয়া মঙ্গলবার মস্কোয় এক আলোচনা সভায় মিলিত হওয়ার পর গনমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদ প্রচারিত হয়। মস্কো থেকে জেসিকা গলোহার Jessica Gollohar তার রিপোর্টে বলেন,
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই লাভ্রভ বলেছেন ২১ আগষ্টের দামেস্কের হামলাটি ছিল সিরিয়ার সরকার বিরোধদের একটি উস্কানী।
“এটি বিশ্বাস করার যথৈষ্ট কারন রয়েছে যে সরকারবিরোধরিা এটি ঘটাতে পারে। এরও সুষ্টূ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন”।
তিনি বলেন সরকারই যেতা ঘটিয়েছে তার পক্ষেও এখনো যথেষ্ট প্রমানাদি সংগৃহীত হয়নি।
জাতিসংঘ তদন্ত দল যখন তাদের রিপোর্টে ষ্পষ্ট বলেছে যে ২১ আগষ্ট সারিন গ্যাস ব্যবহার করে ৪০০জন শিশু সহ ১৪০০ মানুষ হত্যার প্রচুর প্রমান মিলেছে, তার একদিন পরই রাশিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করলেন।
তবে ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লরা ফেবিয়া Laurent fabius বলেছেন সিরিয়ার সরকারই যে সে হামলা ঘটিয়েছিল সে ব্যপারে কোনো সন্দেহ নেই।
“যদি কেউ লক্ষ্য করেন কি পারিমানে সারিন গ্যাস সেদিন ব্যবহার করা হয়েছিল, তবে আর কারো কোনো সন্দেহ থাকার কথা নয় যে সরকারই তা ঘটিয়েছিল”।
এখন সিরিয়া সরকারের রাসায়নিক অস্ত্র ভান্ডার আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রনে সমর্পন করার ব্যপারে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যকার চুক্তি বাস্তবায়নে শীঘ্রই নিরাপত্তা পরিষদের কাজ শুরু হচ্ছে।