হে নতূন দেখা দিক আরবার জন্মের প্রথম শুভক্ষণ--জীবনের প্রতিটি ক্ষণে যখনই গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম আমরা উচ্চারন করি তখনই মনে হয় আজ তাঁর জন্ম দিন-।তবু আজ ই পঁচিশে বৈশাখ, বিশ্বকবির একশো সাতান্ন তম জন্ম দিন। দিনটি যথোচিত মর্যাদায় সারম্বরে পালিত হল গোটা রাজ্যে কথায় কবিতায় গাণে নৃত্যে তালে ছন্দে। রাজ্যের গ্রাম নগর শহর এদিন সকাল থেকেই মুখরিত হল রবীঠাকুরের গানে। কোথাও শোভাযাত্রায় শামিল অসংখ্য রবীন্দ্র অনুরাগী তাদের গানের ডালি নিয়ে, কোথাও আবার রবীঠাকুরের পথিকৃতি নিয়ে ট্যাবলোও পথে নেমেছে,এরকমই চিত্র ছিল গোটা রাজ্যে। সরকারী বেসরকারী স্তরে অসংখ্য রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী পালনের আয়োজন করা হয় ব্লক স্তর থেকে জেলাস্তরে।এবারই এক যোগে শান্তিনিকেতন এবং জোঁড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ী কবিগুরুর জন্মোৎসব পালনের আয়োজন করে এবং যা সরাসরি দেশের সরকারী টেলিভিশন চ্যানেলেও জাতীয়স্তরে সম্প্রচারিতও হয়।রাজ্য সরকারের তরফে মূল অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়মধ্যকলকাতার রবীন্দ্র সদন মঞ্চ সংলগ্ন ক্যাথিড্রাল রোড মঞ্চে। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রথিত যশা শিল্পীরাও কবিপ্রণামের এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন-যা চলবে আগামী চব্বিশে মে পর্যন্ত কলকাতার বিভিন্ন মঞ্চে।
কলকাতা থেকে বিস্তারিত জানিয়েছেন পরমাশিষ ঘোষ রায়।