বর্তমান অবস্থায় তালিবানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির বিষয়টি বিবেচিত হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সারগেই ল্যাভরফ। শনিবার জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেয়ার সময় তিনি একথা বলেন।
অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার নিশ্চিত করায় তালিবানের দেয়া প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন, বিশেষ করে নারীদের প্রতি এবং আফগানিস্তানকে সন্ত্রাসীদের জন্য অবাধ বিচরণস্থল হতে না দেয়া।
ল্যাভরফ বলেন কিন্তু তালিবানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে আমাদের আশা অনুযায়ী জাতিগত ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে আফগানিস্তান সমাজের চিত্র প্রতিফলিত হয়নি। তাই আমরা তাদের সাথে অব্যাহতভাবে কথা বলছি।
তিনি বলেন অগাস্টের মাঝামাঝি সময়ে তালিবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার সময় যে সকল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেগুলো কতোটা বাস্তবায়িত হয়েছে তা নিয়ে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং পাকিস্তান তাদেরকে প্রশ্ন করছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টনিও গুটিরেজ বলেছেন এই স্বীকৃতি পাওয়ার জন্যে তালিবানের যে আশা আকাংখা, সেগুলো কাজে লাগাতে হবে বিশ্বকে।
ল্যাভরফ বলেন ইরান, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স, ব্রিটেন ও জার্মানির মধ্যে ভিয়েনায় চলমান আলোচনা থেমে আছে। যুক্তরাষ্ট্র না থাকায়, ইরান পারমাণবিক কর্মসূচী চুক্তি অনুযায়ী শর্তগুলি মানছে না।
এএফপির তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমীর আব্দল্লাহিয়ান বলেছেন আলোচনা শিগগিরই শুরু হবে, তবে তেহরান কোনও সময়সীমা নির্দিষ্ট করেনি।
শনিবার সাধারণ পরিষদের বার্ষিক বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন বিশ্বে সন্ত্রাস ছড়াতে যেন আফগানিস্তানকে ব্যবহার না করা হয় সে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বিশ্ব নেতাদের প্রতি দেশটির নারী ও শিশুসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সহায়তার আহ্বান জানান।
নরেন্দ্র মোদী বলেন, “এটা নিশ্চিত করাটা গুরুত্বপূর্ণ যে সন্ত্রাস ছড়াতে এবং সন্ত্রাসী হামলা অব্যাহত রাখতে যেন আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করা না হয়”।
কাশ্মীর এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রভাব বিস্তার নিয়ে চীনের সঙ্গে পাল্লারত ভারতের প্রধানমন্ত্রী, সম্প্রসারণ এবং বাদ দেয়ার প্রতিযোগিতা থেকে মহাসাগরগুলোকে রক্ষার ওপর গুরুত্ব দেন।
শনিবার আরও বক্তব্য রাখেন ইথিওপিয়া, মালী এবং হাইতিসহ বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ।