দুর্নীতি বিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বা টিআইবি অভিযোগ করেছে দেশে এ যাবত নেয়া জলবায়ু সংক্রান্ত সকল প্রকল্পেই বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য পাওয়া গেছে।
সংস্থাটি পরিচালিত ‘বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন অর্থায়ন ও প্রকল্প বাস্তবায়নে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যাতে এমন তথ্য উঠে এসেছে । প্রতিবেদনে বলা হয় জলবায়ু সংক্রান্ত প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে বাস্তবায়ন কারী প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা, জন অংশগ্রহণ ব্যবস্থা, স্থানীয়ভাবে প্রকল্পের চাহিদা এবং গুরুত্ব বিবেচনা না করে রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রকল্পে গ্রহন, অর্থায়ন, অনুমোদন ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এতে অভিযোগ করা হয় রাজনৈতিক বিবেচনায় নেয়া এসকল প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের দুর্দশা লাঘব হচ্ছে না। পরিবেশ সুরক্ষায় সাংবিধানিক অঙ্গীকার ও প্রশমনের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতিকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগ না করে উল্টো কয়লা ও এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করা হচ্ছে বলে এতে উল্লেখ করা হয়।
টিআইবি এর গবেষণায় জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মকাবেলায় ২০১১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত নেয়া ৭ টি প্রকল্পের উল্লেখ করে বলা হয় এসকল প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ৬৪ কোটি ১৬ লাখ টাকার অর্ধেকেরও বেশী আত্মসাৎ করা হয়েছে এবং এসকল প্রকল্পের যেটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে তার কোন কার্যকারিতা দৃশ্যমান নয়। প্রতিবেদনে বলা হয় ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি উপশমের জন্য আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ১২ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকার তহবিল পেয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির হাত থেকে পরিত্রাণের জন্য বাংলাদেশের কোন রোডম্যাপ না থাকায় এ খাতে প্রকল্প গ্রহন ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।