তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী আজ তাঁর রাজ্যসভার সদস্যপদ ত্যাগ করেছেন। দীনেশ ত্রিবেদী আদতে ছিলেন ব্যারাকপুর থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে নির্বাচিত লোকসভার সদস্য। এক সময় তিনি রেলমন্ত্রীর পদেও ছিলেন। কিন্তু ২০১৯ সালে ব্যারাকপুরে ভোটে তিনি প্রাক্তন তৃণমূল নেতা পরে বিজেপিতে যোগ দেওয়া অর্জুন সিং এর কাছে হেরে যান। তারপর গত বছর তৃণমূল তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করে নিয়ে এলেও সেই থেকে তিনি দলে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছিলেন বলে মনে করেন। আজ রাজ্যসভায় পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার সময় দীনেশ ত্রিবেদী বলেন, পশ্চিমবঙ্গে লাগাতার হিংসার আবহাওয়া দেখে তিনি ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ। তিনি বলেন, তাঁর এ ব্যাপারে কিছু করা উচিত বলে মনে হচ্ছিল, কিন্তু তৃণমূল দলে একজন ছাড়া আর কারও কিছু বলার উপায় নেই।
এই অসহায় অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যই তিনি রাজ্যসভার সদস্যপদ ত্যাগ করছেন। তাঁর এই পদত্যাগ পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের জন্য একটা বড় আঘাত। মাত্র কিছুদিন আগেই এককালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা, রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী পদত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তার পর আরও একজন মন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এবার দীনেশ ত্রিবেদী পদত্যাগ করলেন। এখনো তিনি পরবর্তী কর্মসূচি জানাননি, তবে বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক ও পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় সঙ্গে সঙ্গে জানিয়েছেন, দীনেশ ত্রিবেদী বিজেপিতে স্বাগত। বস্তুত গত বছর থেকেই দীনেশ ত্রিবেদীকে বিজেপি দলে আসার আহ্বান জানিয়ে রেখেছিল। তৃণমূলের প্রবীণ নেতা সৌগত রায় বলেন, দীনেশ ত্রিবেদীর পদত্যাগ অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। ব্যারাকপুরে তৃণমূলের নির্বাচন কর্মসূচি দেখার দায়িত্বে ছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী। মমতা ব্যানার্জি এখনও তাঁর প্রতিক্রিয়া জানাননি। তবে রাজ্যের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভোটের আগে এটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে এই মুহূর্তে তৃণমূলের সময় ভালো যাচ্ছে না।
