যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প , রাষ্ট্রীয় পরিস্থিতি বিষয়ে তাঁর ভাষণে পররাষ্ট্র নীতি সম্পর্কে বলেন যে সব স্থানে আমেরিকান সৈন্যরা বছরের পর বছর ধরে লড়াই করেছে সেখানে সংঘর্ষ বন্ধ হচ্ছে এবং তাঁর প্রশাসনের নীতির কারণে ভবিষ্যতে অবশ্যম্ভাবী কিছু সংঘাত ও রোধ করা যাচ্ছে।
ট্রাম্প আফগানিস্তান এবং ইরাকে যুদ্ধের বিশাল ব্যয়ের কথা বলেন । সে সব জায়গায় ২০০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর প্রায় সাত হাজার সদস্য প্রাণ হারিয়েছে। তিনি বলেন আফগানিস্তানে এত বছর ধরে লড়াইয়ের পর এখন সময় এসছে অন্তত শান্তি স্থাপনের। প্রেসিডেন্ট বলেন তালিবানও তাই চায়।
ট্রাম্প বলেন “আমার প্রশাসন তালিবানসহ বিভিন্ন আফগান গোষ্ঠির সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে । আমরা এই সব আলোচনায় যখন অগোগতি সাধন করছি, তখন আমরা সেখানে আমাদের সৈন্যের উপস্থিতি কমিয়ে, সন্ত্রাস বিরোধী কার্যক্রমের উপর নজর দিতে পারি।
তিনি সিরিয়া থেকেও যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন। সেখানে তাঁরা ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠিকে অপসারণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৪ সালে সিরিয়ার পুর্বাঞ্চল এবং ইরাকের উত্তরাঞ্চলের বিশাল এলাকা জঙ্গিদের কবলে ছিল।
ট্রাম্প বলেন আজ আমরা রক্তপিপাসু রাক্ষসদের কবল থেকে কার্যত পুরো এলাকাকে মুক্ত করেছি । এখন আমরা যখন আইসিসের অবশিষ্টাংশকে ধ্বংস করার জন্য , আমাদের মিত্রদের সঙ্গে কাজ করছি , এখন সময় এসছে সিরিয়ায় আমাদের সাহসী যোদ্ধাদের স্বদেশে স্বাগত জানানোর।
এদিকে গত বছর জুন মাসে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকের পর গতকাল তাঁর ভাষণে ট্রাম্প জানান যে কিমের সঙ্গে ২৭শে ফেব্রুয়ারি ভিয়েৎনামে তিনি বৈঠক করবেন। তিনি উত্তর কোরিয়ায় তাঁর প্রশাসনের নতুন সাহসী কুটনীতির কথা তুলে ধরেন। ইরান সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন যে, তাঁর কথায় সন্ত্রাসের রাষ্ট্রীয় উদ্যোক্তা , ইরানের চরমপন্থি সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তাঁর প্রশাসন সক্রিয় থাকছে।