জাতিসংঘে সমবেত বিশ্ব নের্তৃবৃন্দের প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই বলে আহ্বান জানান যে ইরান সরকার যতদিন আগ্রাসন চালিয়ে যাবে ততদিন তাঁরা যেন ইরানকে একঘরে করে রাখে।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেওয়া তাঁর ভাষণে ট্রাম্প ইরানি নেতাদের প্রতি তাঁর কথায় গোলযোগ , মৃত্যু ও ধ্বংসের বীজ বপনের জন্য অভিযুক্ত করেন। ইরান প্রসঙ্গে বলেন তারা তাদের প্রতিবেশিদের , তাদের সীমান্ত কিংবা সার্বভৌম রাষ্ট্রের অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেনা। ইরানের নেতারা নিজেদের ধনী করে তোলার জন্য জাতীয় সম্পদ লুঠ করে এবং মধ্যপ্রাচ্য ও তার বাইরে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।
ট্রাম্প বলেন ইরানের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি বন্ধের লক্ষ্যে ওবামা আমলে ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি ইরানের নেতাদের জন্য আশির্বাদ স্বরূপ হয়ে ওঠে এবং তারা সিরিয়া ও ইয়েমেনে লংকা কান্ড বাধানোর জন্য এবং সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের জন্য তাদের সামরিক বাজেট ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি করে।
ওদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি সাধারণ পরিষদকে বলেন যে কোন দেশকেই জোর করে আলোচনার টেবিলে বসানো যায় না। রুহানি প্রশ্ন করেন ইরান কি ভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করতে পারে যখন দেশটি তার সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নীতি লংঘন করছে। রুহানী ট্রাম্প প্রশাসনকে এই বলে দোষারোপ করেন যে ট্রাম্প প্রশাসন সব আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে অকার্যকর করছেন। মঙ্গলবার দিনে আরও আগে ট্রাম্প টুইটারে বলেন যে রুহানীর সঙ্গে বৈঠক করার একাধিক আনুরোধ তিনি প্রত্যাখ্যান করেন তবে ট্রাম্পের এই কথা রুহানি অস্বীকার করেছেন।