যুক্তরাষ্ট্র্র্রর প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে ইরান যদি নতুন করে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা এড়াতে চায় তা হলে তাদের ফিরে এসে আলোচনায় বসতে হবে।
বুধবার নিউ ইয়র্কে সংবাদদাতাদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে প্রেসিডেন্ট ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে আসার ব্যাপারে তাঁর সিদ্ধান্ত সমর্থন করেন। ছ’জাতি স্বাক্ষরিত ঐ চুক্তিতে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করার বিনিময়ে দেশটির উপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ট্রাম্প বলছেন ইরানে অব্যাহত মুদ্রাস্ফীতি চলছে এবং তাদের মূদ্রার কোন মূল্য নেই। তিনি বলেন এক সময়ে তারা হয়ত এসে জিজ্ঞেষ করবে আমরা কি কিছু করতে পারি । ট্রাম্প বলেন জবাবটা খুব সহজ্ । আমি চাইনা তারা পরমাণু অস্ত্রের মালিক হোক।
দিনে আরও আগের দিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে ট্রাম্প তাঁর মন্তব্যের বেশির ভাগেই ইরানের সমালোচনা করেন এবং বলেন দেশটি , তাঁর কথায় , বিশ্বে সন্ত্রাসবাদের সব চেয়ে বড় উদ্যোক্তা।তিনি দাবি করেন যে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির পর ইরানের এই আগ্রাসী মনোভাব বৃদ্ধি পায় ।
নিরাপত্তা পরিষদের এই বৈঠকের অল্প পরই এক সংবাদ সম্মেলনে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ঐ বৈঠক প্রমাণ করে যে পরমাণু চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে যুক্তরাষ্ট্র কতখানি একাকী হয়ে পড়েছে। রুহানি নিজে ঐ বৈঠকে যোগ দেননি তবে বলেন যে নিরাপত্তা পরিষদে যারা ভাষণ তারা সকলেই ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি , প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে সমর্থন করেছে এবং আমেরিকার কর্মকান্ডকে ভুল বলে উল্লেখ করেছে। নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকিকে রুহানি নাকচ করে দেন।