অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

তুরস্ক আফগান শরণার্থীদের ঢল ঠেকানোর চেষ্টা করছে


পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্ত শহর চামনের ফ্রেন্ডশীপ গেইটের দিকে আফগানিস্তান থেকে আসা মানুষেরা অগ্রসর হচ্ছেন। আগষ্ট ১৬, ২০২১।
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্ত শহর চামনের ফ্রেন্ডশীপ গেইটের দিকে আফগানিস্তান থেকে আসা মানুষেরা অগ্রসর হচ্ছেন। আগষ্ট ১৬, ২০২১।

তালিবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে তুরস্ক শরণার্থীদের ঢল ঠেকানোর চেষ্টা করছে। জাতিসংঘের মতে, তুরস্ক এরই মধ্যে চার মিলিয়নের বেশী শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে, যার মধ্যে এক লাখ ২০ হাজার আফগানিস্তান থেকে এসেছে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, দেশটিতে আফগান শরণার্থীদের প্রবেশ ঠেকাতে কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা প্রচেষ্টা জোরদার করার অঙ্গীকার করেছেন। রবিবার এরদোয়ান সতর্ক করে দেন যে, আফগানিস্তানে তালিবানদের বিজয় অনিবার্যভাবে আরো বেশি শরণার্থীকে তুরষ্কের দিকে যাবার পথ খুলে দেয়।

এরদোয়ান বলেন, তুরস্ক আফগানিস্তান থেকে ক্রমবর্ধমান শরণার্থী ঢলের মুখোমুখি হচ্ছে, যারা ইরানের মধ্য দিয়ে আসছে। তিনি আরও বলেন, আমরা এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা আনতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব, যার শুরুটা হবে আফগানিস্তান থেকে।

ইস্তাম্বুলে সফররত পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি ঐ সময় এরদোয়ানের পাশে উপস্থিত ছিলেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে তুরস্কের ঘনিষ্ট মিত্র পাকিস্তান।

এই মাসের শুরুর দিকে এরদোয়ান বলেছিলেন, তালিবানের নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার জন্য তিনি প্রস্তুত। গত সপ্তাহে তালিবান বলেছে, তারা তুরস্ককে আফগানিস্তানের মিত্র মনে করে। আঙ্কারা শরণার্থী সংকট নিয়ে তেহরানের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনাও করেছে। তুরস্কের কর্মকর্তারা, দেশটির সীমান্তে কিছু আফগান শরণার্থী পাঠানোর জন্য ইরানকে দায়ী করেছে। তবে ঐ অভিযোগ ইরান অস্বীকার করেছে।

XS
SM
MD
LG