ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে দেশটির ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার পরিকল্পনা সম্পর্কে তাঁর চুক্তি অনুমোদনের জন্য চূড়ান্ত ভাবে বিধায়কদের ওপর চাপ প্রয়োগ করছেন।
ব্রেক্সিটের ভবিষ্যৎ গতকাল বুধবার আরো অনিশ্চিত হয়ে পড়ে যখন ইইউ থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে আসার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী মে‘র চুক্তির ১৬টি বিকল্পের সব কটি সংসদ নাকচ করে দেয়। আলোচকরা ১৬টি’র পরিবর্তে ৮টি বিকল্প প্রস্তাব ভোটে দেন। এই বিকল্পগুলো হচ্ছে ইইউ‘র সঙ্গে ব্রিটেনকে অভিন্ন শুল্ক ব্যবস্থায় রাখা এবং আরেকটি বিকল্প হচ্ছে ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের সিদ্ধান্তের উপর আরেকবার গণভোট নেওয়া।
তবে চূড়ান্ত এই আটটি প্রস্তাবও নাকচ করে দোয়া হয়, যদিও কাস্টমস ইউনিয়নে প্রবেশের সিদ্ধান্ত সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন লাভের কাছাকাছি গিয়ে পৌঁছায়। অন্য যে প্রস্তাবটি প্রচুর সমর্থন লাভ করে সেটি হচ্ছে ব্রেক্সিট সম্পর্কে দ্বিতীয় আরেকটি গণভোটের আয়োজন করা।
প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে তাঁর চুক্তি পাশ করানোর দুটি প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হওয়ার পর হাউজ অফ কমনস ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করে। মে’র পরিকল্পনার যে বিষয়টি বিতর্কের সুত্রপাত করেছে তা হলো ইইউ সদস্য রাষ্ট্র আয়ারল্যান্ড এবং ব্রিটেন নিয়ন্ত্রিত উত্তর আয়ারল্যান্ডের মধ্যে সীমান্ত পারাপারের বিষয়টি। স্থানীয় বাশিন্দারা নিয়মিত ভাবেই এই সীমান্ত দিয়ে যাতায়ত করে থাকেন। উত্তর আয়ারল্যান্ডের Democratic Unionist Party ব্রেক্সিট পরিকল্পনার কঠোর বিরোধী। ইইউ ১২ই এপ্রিল পর্যন্ত ব্রিটেনকে সময় দিয়েছে ব্রেক্সিট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য।