যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে ‘র সহযোগীরা বলছেন যে তাঁরা উভয়ই চাইছেন লন্ডনে আমেরিকান নেতার তিন দিন ব্যাপী সফর যেন নির্বিবাদ হয়।
বিক্ষোভকাীররা যাতে আমেরিকান নেতার ধারে কাছে ঘেঁষতে না পারে এবং যাতে কোন রকম দূর্ঘটনা ঘটার অবকাশ না থাকে সে জন্য ঐতিহ্যগত ভাবে ঘোড়ার গাড়িতে করে রাজ প্রাসাদে যাবার ঐতিহ্যপুর্ণ আনুষ্ঠানিকতা বাদ দেওয়া হয়েছে । অবশ্য ট্রাম্পের পুর্বসুরী বারাক ওবামার রাষ্ট্রীয় সফরের সমেয়ও নিরাপত্তা জনিত উদ্বেগের কারণে এটি বাদ দেওয়া হয়েছিল।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের লন্ডন সফর যাতে নির্বিঘ্ন হয় সেটা নিশ্চিত করতে লন্ডনে বর্ধিত পুলিশি তৎপরতার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
তবে বিক্ষোভ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের এই সফরে আরও ঝুঁকি রয়েছে যা ব্রিটিশ কর্মকর্তারা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। আর সেটি হলো ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়কার বানিজ্য চুক্তি সম্পর্কে ট্রাম্পের মতামত। তা ছাড়া লন্ডন এবং ওয়াশিংটন একাধিক আন্তর্জাতিক বিষয়ে ভিন্নতম পোষণ করে আসছে যার মধ্যে রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন , ইরানের বিষয়ে নীতি এবং চীনের সঙ্গে ব্রিটেনের বানিজ্য ।
তবে এই ধরণের সম্পর্কের মধ্যেও ব্রিটিশ রাজনীতিকরা, ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিশেষ সম্পর্কের উপর জোর দিচ্ছেন ।