অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বানিজ্য ও নিরাপত্তার মত গুরুত্বপূর্ন ইস্যু নিয়ে টেরেসা মে-ডনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠক শুক্রবার


ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে হচ্ছেন প্রথম বিশ্ব নেতা, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে শুক্রবার বৈঠক করবেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, দুই ঐতিহাসিক মিত্রের মধ্যে সবচেয়ে ঘনিষ্ট সম্পর্কের অঙ্গিকার করেছেন। নারীদের নিয়ে ডনাল্ড ট্রাম্পের করা বক্তব্যকে অগ্রনযোগ্য বলে মন্তব্য করলেও, টেরেসা মে বানিজ্য ও নিরাপত্তার মত গুরুত্বপূর্ন ইস্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। লন্ডন থেকে ভয়েস অফ আমেরিকার Luis Ramirez এর প্রতিবেদন শোনাচ্ছেন রোকেয়া হায়দার ও তাওহীদুল ইসলাম।

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে নারীবাদীদের নেতৃত্বে সবচেয়ে বড় র‍্যালী হয়েছে বৃটেনে। প্রচারনার সময় ডনাল্ড ট্রাম্প নারীদের সম্পর্কে যে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন, তা নিয়ে দেশটিতে এখনো ক্ষোভ রয়েছে।

কিন্তু ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে ভবিষ্যত বানিজ্য, সন্ত্রাসবাস এবং সিরিয়ার সঙ্গে দ্বন্দের মত গুরুত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে’কে ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। BBC One এর একটি শো’তে (Andrew Marr Show) টেরেসা মে বলেন, “কিভাবে আমরা বিশেষ সম্পর্ক তৈরী করতে পারি, সেজন্য পারস্পরিক সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে আমি ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলবো। এই বিশেষ সম্পর্কে যখন আমরা অগ্রনযোগ্য কিছু পাব, তা বলতে সক্ষম হবো।“

টেরেসা মে বলেন, ডনাল্ড ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ জানাতে তিনি ভয় পাবেন না। তিনি বলেন, “আমি মনে করি, নারীর ভূমিকা নিয়ে সবচেয়ে বড় বিবৃতি হবে, সেখানে নারী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে, বৃনেটের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আমি থাকবো। স্বার্থ সংশ্লিষ্ট যেসব বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করি, তা নিয়ে তাঁর সাথে সরাসরি কথা বলবো।“

তবে কিছু পর্যবেক্ষক অনুমান করছেন যে, দুই জনের মধ্যে বিব্রতকর মুহুর্ত হতে পারে তাদের ভিন্ন ব্যক্তিত্ব। LONDON SCHOOL OF ECONOMICS এর MARY EVANS বলেন, “আমি চিন্তা করতে পারি, টেরেসা মে’র অতীত জীবন, তিনি যেভাবে নিজেকে উপযুক্ত করে তুলেছেন, তিনি যেভাবে জীবনযাপন করেন, তাঁর মত একজনের জন্য ডনাল্ড ট্রাম্পের মত ভিন্ন পৃথিবীর একজনের সঙ্গে বৈঠকে বসা দ্বান্দিক। তিনি ভিন্ন গ্রহের না হলেও, অবশ্যই ভিন্ন পৃথিবীর।“

কিন্তু উভয় দেশের গনমাধ্যম তাদের সম্ভাব্য ব্যক্তিত্ব এবং লিঙ্গ সংক্রান্ত ইস্যুতে যা তুলে ধরেছে, তার চেয়ে ডনাল্ড ট্রাম্প ও টেরেসা মে’র পারস্পরিক স্বার্থ এবং উভয় দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক বিশেষ সম্পর্ক অনেক বড়।

সম্প্রতি টেরেসা মে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বৃটেনের সরে যাওয়ার জন্য তার পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নেতার সঙ্গে প্রথম বৈঠকের ফলাফল, বৃটেনে টেরেসা মে’র অবস্থান নির্ধারন করবে।

সরকারি সুত্র বলছে, টেরেসা মে চান কম শুল্কে একটি মুক্ত বানিজ্য চুক্তি। অবশ্য ডনাল্ড ট্রাম্পের পূর্বসূরিরা সতর্ক করেছিলেন যে, বানিজ্য চুক্তির জন্য বৃটেনকে লাইনের শেষে যেতে হবে। তবে বৃটেনকে লাইনের প্রথমসারিতে টেরেসা মে’কেই আনতে হবে।

XS
SM
MD
LG