আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় শুক্রবার মিয়ান্মারের সামরিক বাহিনীকে কড়া সংকেত পাঠিয়েছে,নিন্দে করেছে অসামরিক সরকারের কাছ থেকে তার ক্ষমতা কেড়ে নেয়ার এবং গণতন্ত্রপন্থি প্রতিবাদকারীদের উপর কয়েক মাস ধরে সহিংস অভিযান চালানর। ১১৯-১ ভোটে পাশ হ্ওয়া প্রস্তাবে সহিংসতা বন্ধ এবং নভেম্বরের নির্বাচনে ব্যক্ত জনগণের ইচ্ছার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করার আহ্বান জানানো হয়েছে । তারা গতান্ত্রিক পথে ফিরে আসার আহ্বান জানায় এবং ১লা ফেব্রুয়ারির অভূত্থানের পর জারি করা জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারেরও দাবি জানায়। এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেয় এক মাত্র বেলারুশ এবং ৩৬ টি রাষ্ট্র ভোট দানে বিরত ছিল।
আন্তর্জাতিক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের বৈধ ক্ষমতা যদি্ও কেবলমাত্র নিরাপত্তা পরিষদেরই রয়েছে , ঐ প্রস্তাবে মিয়ান্মারে অস্ত্র পাঠানো বন্ধ করার জন্য সকল সদস্য রাষ্টের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। মিয়ান্মারের রাষ্ট্রদূত, যিনি সেখানকার জাতীয় ঐকমত্যের সরকারের সংযুক্ত রয়েছেন এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন যে তিনি আশা করে সামরিক বাহিনীকে তাদের অমানবিক কর্মকান্ড বন্ধ করতে চাপ প্রয়োগে এই প্রস্তাব সাহায্য করবে তবে এই বলে হতাশাও প্রকাশ করেন যে“এটি আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করেনি”। রাষ্ট্রদূত কিয়াও মো তুন বলেন অভূত্থানের ১৩০ দিনের্ বেশি সময় অতিবাহিত হয়েছে এবং এ রকম কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না যে নৃশংস সামরিক অভিযান শিথিল হয়ে আসছে। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে এই সহিংসতা বন্ধ করানোর জন্য সম্মিলিত ও চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান। পয়লা ফেব্রুয়ারি সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে নেয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৯০০ অসামরিক প্রতিবাদকারীকে হত্যা করা হয়েছে এবং ৬,০০০ লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঐ প্রস্তাবে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শ্র্যানার বার্গেনারকে অবিলম্বে মিয়ান্মার সফরে যাবার অনুমতি দিতে সামরিক বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।