অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জাতিসংঘ চাইলে তদন্ত করতে পারে আমাদের আপত্তি নেই-ড. মোমেন


আল জাজিরার রিপোর্ট নিয়ে বিতর্ক এখনও থামেনি। বরং এই বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিকের বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তার ভাষায়, জাতিসংঘ চাইলে তদন্ত করতে পারে, আমরা এতে আপত্তি করবো না।

স্টিফেন ডুজাররিক নিজেরা তদন্ত করতে চান এমনটা বলেননি। বলেছিলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তদন্ত করে দেখা উচিৎ। আল জাজিরার রিপোর্ট নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে সোমবার রাত থেকেই। বাংলাদেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে ঘণ্টাব্যাপী এক প্রতিবেদন প্রচার করে আল জাজিরা। সে রাতেই ঢাকার বিদেশ মন্ত্রণালয় রিপোর্টটি প্রত্যাখ্যান করে। পরদিন আন্তবাহিনীর জনসংযোগ দপ্তর থেকেও রিপোর্টের নিন্দা জানানো হয়। এসবের মধ্যে রাজনৈতিকভাবেও প্রতিবাদ জানানো অব্যাহত থাকে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী শনিবার আর্মি স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের কাছে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় 'অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন' শিরোনামে প্রচারিত রিপোর্টটিকে সম্পূর্ণ ভুয়া বলে আখ্যায়িত করেন। বলেন, পাবলিক বুঝে গেছে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এতে করে আল জাজিরা তার গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। ড. মোমেন আল জাজিরার বিরুদ্ধে মামলা করার বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে বলে উল্লেখ করেন।

please wait

No media source currently available

0:00 0:01:49 0:00
সরাসরি লিংক

ওদিকে সাতটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশি উর্ধতন সেনাকর্মকর্তাদের কাছে আল জাজিরার প্রতিবেদনে ইসরাইল থেকে অত্যন্ত সংবেদনশীল টেলিফোনে আড়িপাতার যন্ত্র কেনার অভিযোগের ব্যাখ্যা চাইতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের উচিৎ এ বিষয়টি নিয়ে এককভাবে তদন্ত চালানো। মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি জাতিসংঘকেই দেখতে হয়। এই রিপোর্টের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আন্তবাহিনী জনসংযোগ দপ্তর থেকে বলা হয়েছিল, সরঞ্জামটি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে একটি সেনা কন্টিনজেন্টে ব্যবহারের জন্য আনা হয়। জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক শুক্রবার সরাসরি তা নাকচ করে দেন। বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের কোনো কন্টিনজেন্টে এ রকম যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে না।

XS
SM
MD
LG