অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জাতিসংঘ মুয়াম্মার গাদ্দাফির সরকারের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বিবেচনা করছে


জাতিসংঘে লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত ও তার ডেপিউটি
জাতিসংঘে লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত ও তার ডেপিউটি

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ লিবিয়া বিষয়ে আজ দ্বিতীয় দিনের মতো জরুরী আলোচনায় বসছে এবং সদস্যরা মুয়াম্মার গাদ্দাফির সরকারের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছেন।

যে সব বিষয়ে বিবেচনার মধ্যে রয়েছে তার মধ্যে আছে সম্পত্তি, ভ্রমণ এবং অস্ত্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা।

গতকালই জাতিসংঘের মহাসচিব বান কী মুন, সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীদের রক্ষার জন্যে, নিরাপত্তা পরিষদকে শক্ত ব্যবস্থা নেয়ার জন্যে বলেন। তিনি এরই খবরের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন যে মি গাদ্দাফির কোন কোন সমর্থক, সরকার বিরোধী আহত লোকদের হত্যা করতে হাসপাতালে গেছে।

লিবিয়া থেকে ফেরত আসা ফিলিপিন্স এর একজন প্রকৌশলী বলছেন যে সেখানে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ঐ দেশটির ওপর এক তরফা নিষেধাজ্ঞা জারি করে গতকাল একটি নির্বাহি আদেশে স্বাক্ষর করেন। মি ওবামা আরও বলেন যে সে দেশে বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতা, যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও বিদেশ নীতির প্রতি অস্বাভিক প্রভাব ফেলছে।

হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব জে কার্নি বলেন যে তাঁরা একপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক ভাবে এমন কিছু পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন যাতে লিবিয়ার শাসকদের তার নিজের জনগণকে হত্যা করা থেকে বিরত করা যায়।

এ দিকে লিবিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয় এবং আন্ডার সেক্রেটারী অফ স্টেট প্যাট্রিক কেনেডি বলছেন যে আমরা কুটনৈতিক কার্যক্রম চালাবো বিচার বুদ্ধি মতো। আমরা সেখানে যুক্তরাস্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করার জন্যেই রয়েছি। সুতরাং এই দূতাবাসের কার্যক্রম স্থগিত করার অর্থ ঠিক কুটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করা নয়।

তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান আজ বলেছেন যে তিনি নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিরোধী।

XS
SM
MD
LG