অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন স্থগিত রাখতে জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞের আহ্বান


মিয়ান্সার বিষয়ক জাতিসংঘের একজন বিশেষজ্ঞ মঙ্গলবার বাংলাদেশকে রোহিঙ্গাদের রাখাইন রাজ্যে এ মাসে প্রত্যাবাসন শুরু করা স্থগিত রাখতে বলছে যাতে করে তাদের উপর নির্যাতন এড়ানো যায়।

গত বছর আগস্ট মাসে এক সামরিক অভিযানের পর মিয়ান্মারের দশ লক্ষ রোহিঙ্গার প্রায় তিন চতুর্থাংশই রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে যায় । শরনার্থী এবং সাংবাদিকরা ব্যাপক হত্যা , ধর্ষণ এবং গ্রামের পর গ্রামে অগ্নিসংযোগের বিবরণ তুলে ধরেন। পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গারা প্রতিবেশি বাংলাদেশে শরনার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে।

৩০শে অক্টোবর দু দেশ সম্মত হয় যে মধ্য নভেম্বর থেকে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো শুরু হবে তবে মিয়ান্মারে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক র‍্যাপটিয়ার , ইয়াংহি লী বলছেন , এখনো সঠিক সময় আসেনি তাদের প্রত্যাবর্তনের। লী এক বিবৃতিতে বলেন , মিয়ান্মার সরকার এ মর্মে নিশ্চয়তা প্রদানে ব্যর্থ হয় যে প্রত্যাবাসিত রোহিঙ্গারা আবারো একই ধরণের নির্যতান এবং সহিংসতার সম্মুখীন হবে না। লী আর ও বলেন , প্রথমেই এই সংকটের অন্তর্নিহিত কারণের সমাধান করতে হবে যার মধ্যে রয়েছে, তাদেরকে নাগরিকত্বের অধিকার দিতে হবে। লীর এই সতর্কবাণীর আগে ফেইসবুক স্বীকার করে যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির গণহত্যার পেছনে , সামাজিক মাধ্যমও ভূমিকা রেখেছিল।

গত বছর আগস্ট মাসেই জাতিসংঘের তদন্তকারিরা ফেইসবুককে এই বলে অভিযুক্ত করে যে এই সামাজিক মাধ্যমটি , সংখ্যা লঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সে দেশের বৌদ্ধ জনগোষ্ঠির মনে ঘৃণা ছড়াতে ফেইসবুকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে তারা অত্যন্ত ধীর ও অকার্যকর ভূমিকা পালন করেছে। তদন্তকারীরা বলেন , তারা এই নির্যাতনি অপরাধে ভূমিকা রেখেছে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনের উপসংহারে বলা হয় যে ফেইসবুকের মাধ্যমে বিভাজন সৃষ্টি করা এবং সহিংসতায় ইন্ধন যোগানো বন্ধ করতে ফেইসবুক পর্যাপ্ত কিছু করেনি। ঐ প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে যে ফেইসবুক যেন মানবাধিকার নীতি শক্ত ভাবে প্রয়োগ করে ।

XS
SM
MD
LG