ফিলিস্তিনি অঞ্চলে মানবাধিকার পরিস্থিতি আলোচনার জন্য, জিনিভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক পরিষদের বিশেষ অধিবেশনে প্রধান বিষয় ছিল ইসরাইলের প্রতি এই আহ্বান যে মানবাধিকার লংঘনে অভিযুক্তদের জবাবদিহিতার সম্মুখীন করতে হবে। ৬০ টির ও বেশি সদস্য এবং পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র যারা এই অনুরোধ সমর্থন করে তাদের মধ্যে কোন ইউরোপীয় কিংবা উত্তর আমেরিকার কোন দেশ ছিল না।
মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট এই আলোচ্যসূচির শুরুতেই তাঁর কথায় বিস্ময়কর সেই সব ঘটনা তুলে ধরেন যে কারণে এই বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করা হয়েছে। তিনি বলেন গাজায় ইসরাইলের বিমান হামলায় ৬৩ জন শিশুসহ ২৪২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়। তা ছাড়া পূর্ব জেরুজালেমেও ৫ জন শিশুসহ ২৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়। তিনি বলেন একই সময়ে গাজা থেকে হামাস এবং ফিলিস্তিনিদের অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠির রকেট হামলায় ইসরাইলের ১২ জন নাগরিক নিহত হয়। তিনি গাজায় বিপুল সংখ্যক লোকের আহত হওয়া এবং অবকাঠামোতে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতির তীব্র নিন্দে করেন। তিনি ২১ শে মে’র অস্ত্র বিরতিকে স্বাগত জানান তবে সতর্ক করে দেন যে, এই ধরণের সহিংসতার মূল কারণের প্রতি দৃষ্টিপাত না করলে ভবিষ্যতে আবারও মারণাঘাত শুরু হতে পারে।
ফিলিস্তিনি অঞ্চলে মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ রেপর্টিয়ার মাইকেল লিংক স্বীকার করেন যে, অসামরিক লোকজনের উপর ইসরাইল ও হামাস উভয় পক্ষের এই সব বেপরোয়া আক্রমণ নিশ্চিত ভাবেই আন্তর্জাতিক আইন লংঘন করেছে ।তবে তিনি বলেন ইসরাইলের উপর হামাসের ক্ষতি, ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী গাজায় যে ক্ষতি করেছে তার তূলনায় কিছুই নয়।