ওবামা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন –এ পৃথিবী গ্রহের তথাকথিত দূস্প্রাপ্য খনিজ সম্পদের রফতানির ব্যাপারে আরোপিত সীমারেখা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র চীনের বিরূদ্ধে বতুন একটা বানিজ্য-মামলা রুজু করেছে । কর্মকর্তারা বলছেন , যুক্তরাষ্ট্র - ২৭ জাতি য়ুরোপিয় য়ুনিয়ন ও জাপানের সঙ্গে মিলে এ বিরোধের নিস্পত্তির জন্যে বিশ্ব বানিজ্য সংগঠন wto-তে এ মামালা রুজু করেছে মঙ্গলবার । পৃথিবী গ্রহের দূস্প্রাপ্য ঐসব দ্রব্যের প্রধান রফতানিকারক দেশ হ’লো চীন – যার মধ্যে থেকে ১৭টি দ্রব্য , ফ্ল্যাটস্ক্রীন টেলিভিশন – হাইব্রিড মোটোরযানের ব্যাটারী ও উইন্ড টারবাইনের মতো উচ্চ প্রযুক্তি নির্ভর সামগ্রী তৈরিতে ব্যবহার করা হয় । প্রেসিডেণ্ট ওবামা বলেছেন – দূস্প্রাপ্য দ্রব্যের দরকার হয় যেসব সামগ্রীর উত্পাদনে তাতে বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে এ্যামেরিকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও যাতে প্রতিযোগিতার ন্যায্য সুযোগ পেতে পারে সে লক্ষেই তিনি এ বানিজ্য বিরোধের মামালায় যাচ্ছেন ।
চীন বলছে – নিজ দেশেই অভ্যন্তরীন চাহিদা বেড়ে যাওয়াতে এবং বাড়াবাড়ি রকমের খনি খনন তত্পরতায় প্রতিবেশের ওপর বিরুপ প্রতিক্রিয়া না হয় সে কথা চিন্তা করে , এই হালের ক’বছর তারা এর রফতানীতে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ।
বেজিংয়ের Tsinghua University School of Economics and Management-এর অধ্যাপক প্যাটরিক শোভানেক ভয়েস অফ এ্যামেরিকাকে বলেছেন – এই একই ধরনের একটি মামলায় wto ইতিমধ্যেই চীনের বিপক্ষে রায় দিয়েছে ।
ওয়াশিংটন বলছে – বিধিনিষেধের কারনে চীনের কোম্পানীগুলো বিদেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় উত্পাদন ব্যয় , বর্ধিত মাত্রায় আদায় করা বিষয়ে বেশি রকমের সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে ।