অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভার্জিনিয়ার গভর্ণরসহ নানা পদে যুক্তরাষ্ট্রে চলছে নির্বাচন


নিউইয়র্ক শহরের মেয়র এবং নিউজার্সির গভর্ণরসহ বেশ কিছু নতুন প্রতিনিধি নির্বচনের লক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে চলছে নির্বাচন। অন্যান্য এলাকার চেয়ে রাজধানীর পাশের রাজ্য ভার্জিনিয়ার গভর্ণর নির্বাচনের বিষয়টি ডেমোক্রেট এবং রিপাবলিকান উভয়ের জন্য বেশী গুরুত্বপূর্ন। ভয়েস অব আমেরিকার রিপোর্টের ভিত্তিতে সেলিম হোসেন জানাচ্ছেন বিস্তারিত:

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরের বছর হওয়ায় এ নির্বাচনের ব্যপ্তি অতো বেশী নাহলেও নিউ জার্সি ও ভার্জিনিয়ায় গর্ভর্নর পদে, নিউইয়র্ক, আটলান্টা, বস্টন, হিউস্টন ও মায়ামীতে মেয়র পদের এই নির্বাচন কম গুরুত্বপূর্ন নয়।

সাম্প্রতিক সময়ে ওবামাকেয়ার নিয়ে রিপাবলিকানদের অসহযোগিতা, ফেডারেল সরকারের কাজকর্ম বন্ধ হওয়া সহ নানা কারনে রাজধানীর পাশের রাজ্য ভার্জিনিয়ার গভর্ণর নির্বাচনের বিষয়টি ডেমোক্রেট এবং রিপাবলিকান উভয়ের জন্য বেশী গুরুত্বপূর্ন। আর এটি এমন একটি স্থান যেখানে কেউ স্পষ্ট করে বলতে পারে না কে জিতবে।

ভার্জিনিয়ার রিপাবলিকান অধ্যুষিত শহর কালপিপারের অধিবাসীরা এখনো সাম্প্রতি ফেডারেল শাটডাউনের ধকল কাটিয়ে উঠতে পারেন নি। তারা দলমত নির্বিশেষে সকল রাজনীতিকদেরকে শাস্তি দিতে চান, জনগনের স্বার্থে ভালোর জন্যে কাজ করতে ঐক্যমতে পৌঁছাতে না পারার জন্য শাস্তি।

গভর্নর পদে রিবাপলিকান প্রার্থী ভার্জিনিয়ার এ্যাটর্নী জেনারেল কেন কুচিনিলি। শাটডাউন নিয়ে তার ব্যক্তিগত মত ভিন্ন থাকলেও দলের স্বার্থে তিনি সকলের সঙ্গে তখন তাদের পক্ষে কথা বলেন। তবে নির্বাচনে তার বিরোধী প্রার্থীকে ঘায়েল করতে তিনি বলেন তিনি মানুষের জন্য নতুন কর্মসূচী নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা করেন; কিন্তু জানেন না এর অর্থায়ন কিভাবে হবে।

তিনি বলেন “আামি শিক্ষার পক্ষে। চাকুরীর পক্ষে। আমি আবার কুকুরও পছন্দ করি। কিন্তু তাই বলে যদি না জানি কিভাবে কুকুরের যত্ন নিতে হয় তাহলে তাকে বাড়ীতে নিয়ে আসবো না”।

ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিভাগের শিক্ষক ল্যারী সাবাতো বলেন কুচিনেলী সংঘর্ষের রাজনীরি পক্ষাবলম্বনের কারনে মধ্যপন্ধীদের কাছ থেকে তার সমর্থন হারিয়েছেন।

তিনি বলেন, “এতে ব্যবসায়ীরা আহত হয়েছেন তবে আরো সাধারণভাবে বলতে গেলে তারা দায়িত্বহীন ছিলেন। তাদের মতাদর্শের কারনে যে দেশের ক্ষতি হচ্ছে তার পরোয়া তারা করেন নি। এটা আমেরিকা আর আমেরিকা একটি যৌক্তিক দেশ”

১৯৯০ সালে বিল ক্লিনটনের ফান্ড রেইজার, ধনী ব্যবসায়ী ডেমোক্রেটিক প্রার্থী টেরি ম্যাক অলিফি ও ভোটারদেরকে অতোটা উৎসাহিত করতে পারেন নি। তবে তিনি আধুনিক ও যৌক্তিক ইস্যু তুলেছেন এবং বিরোধীদলের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করার কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, “আমরা গর্বিত যে আমরা ভার্জিনিয়ার মূলধারায় কাজ করছি, অথচ আমরা জনগনের প্রয়োজনের কথা অতোটা ভাবছিনা”।
ডেমোক্রেটরা ম্যাক অলিফকে ভোট দেবেন এটা প্রায় নিশ্চিত। তবে সংখ্যারিষ্ঠতা কেউ পাবে কিনা সে ব্যপারে কেউ নিশ্চিত নন।

এদিকে নিউ জার্সির বর্তমান গভর্ণর ক্রিস ক্রিষ্টির পুননির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তিনি ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন এমন কথা আলোচনায় এসেছে।

আজকের নির্বাচনের ফলাফল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি বিশ্লেষকরা এক বছর পরে অনুষ্ঠিতব্য কংগ্রেশনাল নির্বাচন এর ভবিষ্যৎ কি হতে পারে তা খানিকটা হলেও বুঝতে পারবেন, যেখানে প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫ সদস্যই ভোটাভুটির মধ্যে পড়বেন এবং ১০০ সদস্যের সেনেটে’র এক তৃতীয়াংশ নির্বাচনের আওতায় আসবেন।

নিউইয়র্ক শহরের মেয়র হিসাবে বর্তমান ইন্ডপেন্ডেন্ট মেয়র ধনী ব্যবসায়ী মাইকেল ব্লুমবার্গ এর স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ডি ব্লাসিও। আর তা হলে, ১৯৮৯ সালের পর এই প্রথম নিউইয়র্ক শহরে হবেন ডেমোক্রেটিক দলের একজন মেয়র। রিপাবলিকান জো লোহতা’র চেয়ে তার সমর্থন অনেক বেশী। আর ব্লুমবার্গ চতুর্থ বার মেয়রপদে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে আইনী বাধায় পড়েছেন। সব মিলে ডি ব্লাসিও ভাগ্য সুপ্রসন্ন, বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

XS
SM
MD
LG