মনে করা হচ্ছে তুরস্কের যে অভিযোগ যে সৌদি গুপ্তচরেরা ,যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সাংবাদিক জামাল খাশোগজিকে ইস্তাম্বুলে সৌদি কনসুলেটের ভেতরে হত্যা করেছে , তার তদন্ত শেষ করতে যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবকে কিছুটা সময় দিতে চায়।
সৌদি ও তুরস্কের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও আজ হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে অবহিত করেছেন এবং বলেছেন যে খাশোগজির নিখোঁজ হবার ব্যাপারে তদন্ত শেষ করা পর্যন্ত সৌদি আরবকে যেন আরো সময় দেয়া হোক।
পম্পেও বলেন যে সৌদি প্রতিবেদন পাবার পর যুক্তরাষ্ট্র যথাযথ প্রতিক্রিয়া জানাবে। পম্পেও বলেন যে সেখানে কী হয়েছিল সে নিয়ে অনেকগুলো কাহিনী আছে তবে সৌদি আরব এবং তুরস্কের তদন্ত সম্পর্কে তিনি কোন আঁচ অনুমান করতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন তিনি মনে করেন এই সব তদন্ত থেকে পরিপূর্ণ একটা চিত্র বেরিয়ে আসবে।
পম্পেও যখন হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন তখন তুরস্কের তদন্তকারীরা কনসুলেটে নতুন করে অনুসন্ধান কাজ চালিয়েছেন , যা কীনা এ সপ্তায় দ্বিতীয় দফা অনুসন্ধান । তারা এরই মধ্যে ইস্তাম্বুলে সৌদি কনসাল জেনারেলের বাড়িতে ন ঘন্টা অনুসন্ধান কাজ চালিয়েছে। বলা হচ্ছে সৌদি কনসাল জেনারেল হঠাৎ করেই রিয়াদে ফিরে গেছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী রিয়াদ ত্যাগের আগে বলেন যে তদন্ত চলার সময়ে সৌদি নেতারা এ বিষয়ে কোন কিছু বলেননি। তবে তদন্তের পর এর ফলাফল প্রকাশ করতে তারা প্রতিশ্রত বদ্ধ । সৌদি আরব এর আগে বলেছিল যে খাশোগজির নিখোঁজ হওয়া সম্পর্কে তারা কিছুই জানেনা।
তুরস্কের রাজধানী আংকারায় পম্পেও প্রেসিডেন্ট রেজেপ তৈয়ব এরদোয়ান এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রী মেভলুত চাভুসোগলুর সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। সরকার পন্থি তুরস্কের সংবাদ মাধ্যম বলছে যে সৌদি চরেরা খাশোগজি কনসুলেটে প্রবেশের পর পরই তাঁর আঙ্গুলগুলো কেটে ফেলে , তাঁর অঙ্গচ্ছেদ করে এবং তার দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলে। তারা সৌদি নিরাপত্তা কর্মকর্তা মাহের আব্দুল আজিজ মুতরেবকে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট হত্যাকারি দলের নেতা বলে চিহ্নিত করেছে।