প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অভিবাসন সংস্কার পরিকল্পনা সুপ্রিম কোর্টে, সমান সংখ্যক ভোটে আটকে যাওয়ায় প্রেসিডেন্ট, এবং কংগ্রেসের ডেমোক্রেট বিধায়কেরা রিপাবলিকানদেরকে দায়ী করছেন। যুক্তরাস্ট্রের কাগজপত্রবিহিন অভিবাসিদের এ্যামনেস্টি দেয়ার লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট ওবামার নির্বাহী আদেশ বিষয়ে বৃহস্পতদিবার আটজন বিচারপতির মধ্যেকার ভোট, চার-চারে আটকে যায়।
অভিবাসন সংস্কার নিয়ে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের ভোট সমান হওয়ায় তা আটকে যাওয়ার পর, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এর জন্যে রিপাবলিকানদেরকে দোষী করে বলেন, দেশের শীর্ষ আদালতে একজন বিচারক কম থাকার পরও রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত সিনেট, নতুন বিচারপতি নিয়োগের পক্ষে ভোট দিতে অস্বিকৃতি জানায়।
তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের এ সিদ্ধান্ত যুক্তরাস্ট্রের ওপর সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলবে, “এই সিদ্ধান্ত হতাশাব্যাঞ্জক, বিশেষ করে তাদের জন্য যারা আমাদের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন এবং ঐসব মানুষদেরকে পর্দার আড়াল থেকে বের করে আনার জন্যে আমাদের অভিবাসন পদ্ধতির সংস্কারের যুক্তি রয়েছে”।
প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন যুক্তরাস্ট্রের অভিবাসন পদ্ধতি দুই দশকেরও বেশী সময় ধরে বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে। তিনি বলেন বিচারপতি এ্যান্টনিও স্ক্যালিয়ার পদে নতুন বিচারপতি নয়োগে রিপাবলিকানদের মত না হওয়ার কারনে আজকের এই অচলাবস্থা।
“কংগ্রেসে রিপাবলিকান বিধায়কেরা ইচ্ছা করে সুপ্রিম কোর্টকে সংকুচিত করে রেখেছেন, যার ফলে অভিবাসন সংস্কার নিয়ে আজ এই অচলাবস্থা”।
তবে প্রেসিডেন্ট ওবামা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন অভিবাসন সংস্কার হবে; কারন কংগ্রেস এই সমস্যাকে চিরস্থায়ী করে ফেলে রাখবে না।
হাউজ মাইনরিটি লীডার ন্যান্সী পেলোসী সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাস্ট্রের ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠানসমূহ অভিবাসন সংস্কারের প্রযোজনীয়তার কথা জানিয়েছে, “যে কোনো দলের সঙ্গে কথা বলবেন, দেখবেন কোনো না কোনোভাবে তারা সমন্বিত অভিবাসন সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা বলছেন। একমাত্র যারা এ বিয়ষটির গুরুত্ব দিচ্ছেন না তারা হচ্ছেন কংগ্রেসে রিপাবলিকান বিধায়কেরা”।
অভিবাসন বিষয়ে বৃহস্পতিবারের সুপ্রিম কোর্ট সিদ্ধান্তকে রিপাবলিকান নেতারা বলছেন গনতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। যেমনটি বলছিলেন হাউজ স্পিকার পল রায়ান; “প্রেসিডেন্ট নন, কংগ্রেস আমাদের জন্যে আইন করেন, এবং আজ সুপ্রিম কোর্ট তার সত্যতা সমর্থন করেছে যা মানা আমাদের জন্যে প্রয়োজনীয় এবং মৌলিক নীতি”।
রিপাবলিকানরা বিশ্বাস করেন নভেম্বরের জাতিয় নির্বাচনে তারা ক্ষমতায় আসবেন, তাদের ভোটে, যারা চান অভিবাসন আইন আরো কড়া হোক। বলছিলেন এ্যালাবামার রিপাবলিকান সেনেটর জেফরি সেশনস: “হিলারী ক্লিনটন, প্রেসিডেন্ট ওবামার চেয়ে আগে বেড়ে গেছেন। তিনি বলেছেন কেউ কোনো সহিংস বা সন্ত্রাসী ঘটনা না করলে তিনি কাউকে বহিস্কার করবেন না”।
রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তিনি অবৈধ অভিবাসিদের বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নেবেন। তবে অনেক আমেরিকান মনে করেন বহিস্কার করাটা অমানবিক বিষয় এবং এই দেশটি যে মূল্যবোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত, তা তার বিপক্ষে যায়।