অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ট্রাম্প: সৌদি আরবকে শাস্তি প্রদান যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের পরিপন্থি


মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সংবাদদাতাদের বলেন যে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংবাদদাতার হত্যার জন্য সৌদি আরবের দায় সত্বেও, সৌদি আরবকে পরিত্যাগ করা হবে এক মারাত্মক ভুল।

প্রেসিডেন্ট বলেন মানবাধিকার বিষয়ক উদ্বেগের চাইতে বড় হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্বার্থের বিষয়টি।

ট্রাম্প বলেন আমরা সৌদি আরবের সঙ্গেই থাকছি। সৌদি আরব যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে ইরানের বিরোধীতা করছে এবং আমেরিকান সামরিক সাজ সরঞ্জাম কিনছে তার মানে হচ্ছে, প্রেসিডেন্টের মতে, হাজার হাজার চাকরি সৃষ্টি হচ্ছে এবং কোটি কোটি ডলারের বিনিয়োগ আসছে।

রাশিয়া ও চীন সেই জিনিষ পাবে না। থ্যাংকস গিভিং ডে বা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন দিবসের ছুটিতে যাবার আগে হোয়াইট হাউজের সাউথ লন ‘এ ট্রাম্প সাংবাদিকদের এ কথা জানান। ট্রাম্প বলেন যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক ভেঙ্গে পড়লে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন সৌদি আরবের ব্যাপারে বোকার মত আচরণ করে আমি বিশ্ব অর্থনীতি এবং আমাদের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিতে পারিনা।

এ রকম খবর যে সিআইএ এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান , ভিন্ন মতাবলম্বী সাংবাদিক খাশোগজির হত্যার ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সম্ভবত জানতেন কিংবা তাঁকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন, সে ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে, তিনি পরিস্কার ভাবে বলেন, হয়ত তিনি এটা করেছেন , হয়ত করেননি। সিআইএ ‘র তদন্তেও নিশ্চিত কোন কিছু নেই।

প্রেসিডেন্ট অস্বীকার করেন যে ২রা অক্টোবরের ঐ হত্যার জন্য সৌদিদের কড়া শাস্তি দিতে তাঁর এড়িয়ে যাওয়ার কারণ , তাঁর নিজস্ব ব্যবসায়িক স্বার্থের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ।

XS
SM
MD
LG