গত বছর যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যকার শীর্ষ সম্মেলনের পর . পিয়ংইয়ং এর পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আগামি সপ্তায় আবারও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরীয় নেতা কি জং ঊনের মধ্যে ভিয়েৎনামে এই সর্বোচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হতে যাচ্ছে। এই বৈঠকের সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত করতে প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টন এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিফেন বাইগান উত্তর কোরিয়া সফরে গেছেন।
অনুমান করা হচ্ছে ২৭ ও ২৮শে ফেব্রুয়ারি এই বৈঠক হবার কথা তবে ঠিক ক’টি বৈঠক হবে এবং কতক্ষণ ধরে বৈঠক চলবে সে সব সম্পর্কে বিস্তারিত আর কিছু জানা যায়নি।
সরকারি ভাবে আলোচ্যসূচির মধ্যে রয়েছে “ কোরীয় উপত্যকাকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করা”। তবে এর মানেটা ঠিক কি সে ব্যাপারে কোন ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সে জন্যই বিশেষ দূত বাইগান , তাঁর উত্তর কোরীয় সহপক্ষ কিম হিয়ক চলের সঙ্গে এই ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনার জন্য এ সপ্তায় ভিয়েৎনামে রয়েছেন। তিনি যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন যে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের জন্য উত্তর কোরিয়া সুনির্দিষ্ট ভাবে ঠিক করবে এবং তারই পুরস্কার হিসেব যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়াকে কি দিতে পারে।
গত বছর জুন মাসে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত প্রথম সম্মেলনের লক্ষ্য ছিল উত্তর কোরিয়ার আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপনাস্ত্র নিয়ে আলোচনা করা । কিন্তু ঐ বৈঠক শেষে কেবল এই মর্মে বিবৃতি প্রকাশ করা হলো যে তারা কোরীয় উপদ্বীপের পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ সম্পর্কে কাজ করে যাবার সংকল্প ব্যক্ত করছেন। এই বৈঠক সম্পর্কে ট্রাম্প বলেছেন যে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ সম্পর্কে তাঁর কোন তাড়া নেই তবে এটুকু নিশ্চয়তা চান যে উত্তর কোরিয়া তার পরমাণু পরীক্ষা যেন বন্ধ করে।