অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ বিভাগের সংস্কারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ


পুলিশ বিভাগের সংস্কারের বিষয়ে আজ মঙ্গলবার একটি নির্বাহী আদেশ স্বাক্ষর করছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।


সোমবার ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয় এই সংস্কার মূলত পুলিশ অফিসারদেরকে সহিংসতা নিরসণে দক্ষতা অর্জন ও পুলিশ বিভাগের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্যে করা হচ্ছে।

এই সংস্কারের মধ্যে থাকছে পুলিশের বিচক্ষনতা বাড়ানোর জন্যের বরাদ্দ বা অনুদান বৃদ্ধি এবং কো-রেসপন্ডেন্ট সার্ভিস অর্থাৎ সমাজকর্মীদের সঙ্গে জোট করে পুলিশ যেনো স্থাণীয় সম্প্রদায়ের নানা কাজে সহায়তা করার দক্ষতা অর্জন করতে পারে। এর মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন বা মাদক সমস্যার সমাধান করার বিষয়ও থাকবে।

তবে কংগ্রেসের বিবেচনায় পুলিশের আরো বড় ধরনের সংস্কারের প্রস্তাব রয়েছে।

পুলিশের সংস্কার কেনো দরকার, কি ধরনের সংস্কার দরকার এসব নিয়ে, আজ মঙ্গলবার সেনেট জুডিশিয়ারী কমিটিতে আইন শৃংখলা বাহিনি ও নাগরিক অধিকার কর্মীদের মধ্যে একটি শুনানী অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

রিপাব্লিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ চেম্বারে পুলিশ বিভাগের সংস্কার বিষয়ক একটি প্রস্তাব নিয়ে কাজ চলছে যাতে চোকহোল্ড বা পুলিশের শ্বাসরোধ করার বিষয় এবং শরীরের ক্যামেরার ব্যবহার বিষয় অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।

সেনেট মেজরিটি লীডার মিচ ম্যা্ককনেল বলেছেন এটি আইন রক্ষা বাহিনীর সংস্কারের জন্যে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন প্রস্তাব।

সেনেট সংখ্যালঘিষ্ঠ নেতা চাক শুমার বলেছেন রিপাব্লিকানদের প্রয়াস বেশিদূর এগোয় না। কিন্তু এখনই সময় এই সংস্কারের বিষয়ে শক্ত পদক্ষেপ নেয়া এবং পরিবর্তন করা।

ডেমোক্রেট নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদে পুলিশের সংস্কার নিয়ে এ মাসের যে কোনো সময়ে বিতর্ক হবে যাতে পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে নাগরিকদের মামলা করার কাজ আরো সহজতরো করা যায়।

তবে হোয়াইট হাউজ থেকে জানানো হয়েছে ‘কোয়ালিফাইড ইমিউনিটি ডক্ট্রিন’ অর্থাৎ সরকারী কর্মীদের দায়িত্ব পালনে তাদের বিরুদ্ধে মামলার সীমাবদ্ধতার যে আইন রয়েছে; তা বন্ধে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মত দেবেন না।

২৫শে মে মিনেসোটায় পুলিশ হেফাজতে জর্জ ফ্লয়েড মারা যাবার পর যুক্তরাস্ট্র জুড়ে যে প্রতিবাতদ বিক্ষোভ শুরু হয় তা থামাতে পুলিশ নানা স্থানে টিয়ার গ্যাস গ্রেফতারসহ নানা ব্যাবস্থা নেয়ার প্রেক্ষিতে পুলিশের সংস্কার নিয়ে বিতর্ক ও প্রশ্ন ওঠে।

ফ্লয়েডের ঘটনার রেশ যেতে না যেতে গত শুক্রবার আটলান্টায় রেয়শার্ড ব্রুকস নামের এক আফ্রিকান আমেরিকান পুলিশের গুলীতে মারা যান।

এই দুই ঘটনায় যুক্তরঅস্ট্যের সবগুলো বড় শহরে প্রতিবাদে নামেন হাজার হাজার মানুষ। National Association for the Advancement of Colored People (NAACP) নামের নাগরিক অধিকার সংগঠনের আয়োজনে আটলান্টায় বহু মানূষ প্রতিবাদে অংশ নেন। তারা ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থার সংস্কার, পুলিশ বিভাগের সংস্কারের দাবী তোলেন।

জর্জিয়া হাউজ ও সেনেওটের বেশ কয়েকজন ডেমোক্রেটিক আইনপ্রণেতাও সোমবারের ওই প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দেন। তারা বলেন তারা সংস্কারের দাবীর সমর্থন করেন।

জর্জিয়ার রিপাব্লিকান হাউজ স্পিকার ডেভিড র‍্যালস্টোন বলেন তিনি বর্ণবাদী অপরাধ বিষযক একটি বিল পাশ করবেন। আগেও জর্জিয়ার প্রতিনিধি পরিষদে বর্ণবাদী বিষযক একটি বিল পাশ হয় কিন্তু সেনেটে তা আটকে যায়।

সোমবার প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় রাজধানী ওয়াশিটন ডিসির হোয়াইট হাউজ সংলগ্ন লাফিয়াত পার্কে।

সোমবার জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ ঘোষণা দেয় বুধবার বর্ণবাদ, মানবাধিকার লংঘন, পদ্ধতিগত বণর্বাদ, পুলিশের নৃশংসতা ও শান্তিপূর্ন প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে নির্যাতনসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদী নিয়ে একটি জরুরী বিতর্কের আয়োজন করা হবে।

XS
SM
MD
LG