অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সিরিয়ায় জিম্মি উদ্ধার অভিযানের ব্যার্থতার কথা স্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র


ইসলামিক ষ্টেট জঙ্গী কতৃক সিরিয়ায় জিম্মি অবস্থায় থাকা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের উদ্ধার অভিযানের ব্যার্থতার কথা বুধবার স্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে ভয়েস অব আমেরিকার ভিক্টর বিটির রিপোর্ট।

please wait
Embed

No media source currently available

0:00 0:03:41 0:00
সরাসরি লিংক

পেন্টাগন মুখপাত্র রিয়ার এ্যাডমিরাল জন কিরবি বলেছেন সিরিয়ায় ইসলামিক ষ্টেট জঙ্গীদের হাতে জিম্মি থাকা বেশ কয়েকজন আমেরিকানকে উদ্ধারের অভিযান করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তিনি বলেন সেই বিমান ও স্থল অভিযান ব্যার্থ হয়। কারণ জিম্মিদেরকে যেখানে আনার কথা ছিল সেখানে আনা ঞযনি।

সন্ত্রাসবিরোধ কার্যক্রমে প্রেসিডেন্সয়াল সহকারী লিসা মোনাকো বলেন এ বছর গ্রীস্মে করাসেই অভিযানের অনুমোদন দিয়েছিোলেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। তিনি ভেবেছিলেন প্রতিটি দিন জিম্মিদের জন্য ভয়াবহ হয়ে উঠছে।

যুক্তরাষ্টেচ্রর সেনা কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী রিক ব্রেন্নান বলেন এ ধরনের অভিযানের জন্য সঠিক ও সুনিরর্দিষ্ট গোয়েন্দা রিপোর্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন, তবে এটা আশ্চর্যজনক যে সেই অভিযানের ব্যার্থতা খোলামেলাভাবে স্বীকার করেছে পেন্টাগন।

“এ ধরনের অভিযানে হাল গোয়েন্দা তথ্য পাওয়া মুস্কিল। আমাদের অনেকগুলো প্রচেষ্টা ব্যার্থ হয়, যেমন হয়েছিল বিন লাদেনের বেলায়। প্রতিরক্ষা বিভাগে এর সামর্থ নিয়ে খুব একটা কথা বলে না। ফলে এটা খানিকটা অস্বাভাবিক যে পেন্টাগন ও হোয়াইট হাউজ সেই ব্যার্থতা স্বীকার করেছে”।

মঙ্গলবার ফ্রিল্রান্স আমেরিকান সাংবাদিক জেমস ফলির জবাই হওয়ার ভিডিও প্রচারের পর পর প্রেসিডেন্ট ওবামার স্বীকারোক্তির দিনই পেন্টাগনও হোয়াইট হাউজের বিবৃতি প্রকাশ পেলো। তিনি বলেন ওই নৃশংস হত্যাকান্ডে গোটা বিশ্ব হতবাক এবং এই খুন, অপহরণ, অত্যাচার, ধর্ষন ও অপকর্মের নিন্দা জানায়।

“মধ্যপ্রাচ্যের সরকার থেকে শুরু করে প্রতিটি জনগন এই ভয়াবহ ক্যান্সার থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন, যেনো তা আর না বাড়ে। এ ধরনের ধ্বংসবাদী আদর্শের বিরুদ্ধে ষ্পষ্ট প্রতিবাদ উঠতে হবে”।

মিষ্টার ওবামা বলেন একাবিংশ শতাব্দীতে ইসলামিক ষ্টেট জঙ্গীদের জন্য কোনো স্থান নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র মারি হার্ফ বুধবার বলেন ইসলামিক ষ্টেট হুমকী মোকাবেলায় করণীয় নিয়ে ওয়াশিংটন তার বেশ কিছু আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

“ঐ অঞ্চলের দেশসমূহ বিষযটি নিয়ে ভীষনভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা ইসলামিক ষ্টেটটকে অর্থায়ন বন্ধে কার্যকরী ব্যাবস্থা নিতে কাজ করছি, কাজ করে চলছি বিদেশী যোদ্ধাদের যোগদান বন্ধের ব্যাবস্থা করতে যাতে আইএসআইএল অক্সিজেনের ন্যায় শক্তি না পায় যা তাদেরকে বাড়তে সহায়ক হয়েছে”।

তবে অষ্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইসলামিক এ্যান্ড মডার্ন ওয়ার্ল্ড প্রধান, পর্যটন বিশেষজ্ঞ গ্রেগ বার্টন বলেন ঐ অঞ্চলে পর্যটকদের হুমকী অব্যহত থাকবে এবং ইসলামিক ষ্টেট যোদ্ধা নিয়োগ করতেই থাকবে।

“আমরা ভাবতাম ইরাকে ৬ হাজার জঙ্গী রয়েছে, একই রকম সংখ্যা রয়েছে সিরিয়ায়। এখন আমরা দেখছি তা আরো অনেক বেশী।গতকয়েক সপ্তাহে দেখা যাচ্ছে বহু বিদেশী যোদ্ধা যোগ দিয়েছে এবং এখন তাদের সংখ্যা অনেক বেশী”।

বার্টন বলেন ফলিকে হত্যা করা হয়েছেপশ্চিমাদেরকে উস্কানী দিতে যাতে সুন্নী চরমপন্থরিা তাদের সঙ্গে ইসলামপন্থী যুদ্ধে যোগ দেয়। তবে এখনো পর্যন্ত পশ্চিমারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেনি। কাউন্সিল অন ফরেন রেলেশনস এর ন্যাশনাল সিকিউরিটি এক্সপার্ট ম্যাক্স বুট বুধবার কমেন্টারী ম্যাগাজিনে লিখেছেন, ইসলামিক ষ্টেটকে পরাস্ত করতে হোলে সিরিয়া ও ইরাকে সুসংহত সেনা কৌশল নিয়ে এগুতে হবে।

XS
SM
MD
LG