যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে এশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় ও পারমানবিক অস্ত্র বিস্তার রোধে গঠিত উপকমিটির উদ্যোগে "দক্ষিণ এশিয়ার মানবাধিকার এবং পররাষ্ট্র দফতর ও ঐ অঞ্চল থেকে প্রাপ্ত মতামত" সম্পর্কিত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই শুনানিতে কংগ্রেসম্যানরা দক্ষিণ এশিয়ার বিশেষ করে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং গনতন্ত্র নিয়ে কথা বলেন। এসময় তারা কাশ্মীর, ভারতের নাগরিক পুঞ্জি এবং রোহিঙ্গা সমস্যাকে সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দেন।
House Foreign Affairs Committee’র সিনিয়র সদস্য এবং এশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয ও পারমানবিক অস্ত্র বিস্তার রোধে গঠিত উপকমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেসম্যান ব্র্যাড শারম্যান রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলছিলেন –“দক্ষিন এশিয়াকে অন্য যে বিষয়টি প্রভাবিত করছে তা হলো রোহিঙ্গা। দক্ষিন-পূর্ব এশিযা বিষয়ক এই শুনানীতে আমরা মিয়ানমার সরকার শুরু থেকে রোহিঙ্গাদের বিতাড়নের জন্য যা করেছে তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি এটা উল্লেখ করতে চাই যে বিশ্বের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রই রোহিঙ্গা জনগনকে সবচেয়ে বেশী সাহায্য দিয়েছে, যা ৬৬০ মিলিয়ন ডলার।“
রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে জানাতে গিয়ে দক্ষিণ ও মধ্য এশীয় বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী Alice G. Wells বলেন, "প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালে সাত লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছেন এবং বাংলাদেশের ওপর এর নানা ধরনের প্রভাব পড়েছে। জাতিসংঘ এবং আর্ন্তজাতিক অংশীদাররা রোহিঙ্গাদের চাহিদা পূরনে বাংলাদেশকে অব্যাহত ভাবে সাহায্য করে যাচ্ছে, যাতে রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় ও নিরাপদে মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারে"।