যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে সোমবার বিকেলে হতে যাওয়া বৈঠক নিয়ে প্রত্যাশা কম রাখার চেষ্টা করছেন হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা।
উল্লেখযোগ্য কোন অগ্রগতির আশা না থাকায় যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন, উভয় দেশই বৈঠকটিকে স্যামিটের পরিবর্তে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক হিসেবে উল্লেখ করেছে।
প্রশাসনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা রবিবার বিকেলে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, এই বৈঠকটি দায়িত্বশীলভাবে প্রতিযোগিতা পরিচালনার জন্য আমাদের চলমান প্রচেষ্টা সম্পর্কে, বৈঠকটি জানানোর মত সুনির্দিষ্ট কোন বিষয় বা ফলাফলের সঙ্গে সম্মত হবার বিষয়ে নয়। হোয়াইট হাউজের অন্যান্য কর্মকর্তারা সাম্প্রতিক দিনগুলোতে এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছেন।
আলোচনার জন্য অবশ্যই বেশ কিছু জটিল সমস্যা রয়েছে। বেইজিং বিশ্বজুড়ে তার সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব বাড়াতে চাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র চীনকে তার কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখে। দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক, আইনি, প্রযুক্তিগত এবং অর্থনৈতিক বিরোধ রয়েছে, যা পরিবর্তনশীল এবং তা প্রতিনিয়ত বাড়তে দেখা যাচ্ছে।
বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি এবং শুল্কের পাশাপাশি আঞ্চলিক ফ্ল্যাশ পয়েন্ট নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে, যা সশস্ত্র সংঘাতে পরিণত হতে পারে। যার মধ্যে রয়েছে তাইওয়ান প্রণালী, দক্ষিণ চীন এবং পূর্ব চীন সাগর।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বৈঠকে বেইজিংয়ের পণ্যের সরবরাহ চেইনে জোরপূর্বক শ্রমের ব্যবহারসহ মানবাধিকার সমস্যাগুলো তুলে ধরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।