প্রতি বছর ১৪ই ফ্রেবুয়ারী বিশ্বের বহু দেশে পালিত হয় ভ্যালেন্টাইনস’ডে বা ভালোবাসা দিবস। প্রেমিক প্রেমিকারা একে অপরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেন ফুল, কার্ড এবং বিশেষ করে, চকলেট দিয়ে। চকলেট শিল্পের পরিসংখ্যান অনুসারে, শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রেই এই ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহে ২ কোটি ৭০ লক্ষ কিলোগ্রাম চকলেট বিক্রি হয়; যার মূল্য ৩৫ কোটি ডলার। স্রোতা বন্ধুরা চলুন এবার ঘুরে আসি ভালবাসা দিবস উপলক্ষ্যে ভয়েস অব আমেরিকার জুন সোহ’ এর সঙ্গে, ওয়াশিংটনের অদূরের একটি চকলেট উৎসবে:
নানান ধরণের, নানান প্রকার প্রকৃতি আকার আকৃতি আর রঙের চকলেট এখানে। রয়েছে পেষ্ট্রি, কাপকেক, ক্যান্ডি এবং আইসক্রীমও। ওয়াশিংটন ডিসির অদূরে ভার্জিনিয়ার ফেয়ারফ্যাক্স ওল্ড টাউনের এই চকলেট প্রেমীদের উৎসবটি যেনো পুরোপুরি চকলেটেরই তৈরী।
“আহ, অবিশ্বস্য। এই ডার্ক চকলেট; অসাধারন স্বদের”; বলছিলেন একজন চকলেট প্রেমী।
শিশু কিংবা বয়স্ক, সব বয়সীরাই চকলেট খাওয়ার আনন্দে মাতোয়ারা।
“এখানে এই অসংখ্য ধরনের চকলেট আমার পছন্দ। আমরা মাত্র শুরু করলাম। বিভিন্ন চকলেট রয়েছে এখানে। এখনো আইসক্রীম খাইনি। পরে খাবো”।
ভালোবাসা দিবসের আগের সাপ্তাহিক ছুটিতে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী এই চকলেট উৎসবের এবার ২১তম বছর। উৎসবের চেয়ারম্যান লেসলী হারমান। এ প্রসঙ্গে তিনি বললেন: “প্রতি বছরই উৎসবটি বড় হচ্ছে। বড় ধরনের তুষারপাত বা ঝড় বাদে, আবহাওয়া কেমন থাকে না থাকে সেটি কোন ব্যপার না। বৃষ্টি বাদল তুষারপাত বা ঠান্ডার মধ্যেও সবাই এখানে আসেন। সাধারণত ১০ হাজার লোক সমাগম হয়”।
অনেকেই এই চকলেট উৎসবে স্বেচ্ছাসেবীদের দেয়া প্যান-কেক দিয়ে সকালের নাস্তা করেন। চকলেটের স্বাদ নেয়ার স্থানে ৪০ জনের মত দোকানদার ষ্টল করেন।
ডেবি ওয়ালশ ২০ বছর ধরে এই উৎসবে দোকান করেন, নানা ধরনের চকলেটর পসরা সাজান তিনি।
“প্রতি বছরই আমি এখানে আসি। আমার ভালো লাগে। অনেক পুরোনো মুখ দেখি, নতুনদের সঙ্গে পরিচয় হয়। ভালো ভালো চকলেট দিয়ে চকলেট-প্রেমীদেরকে প্রফুল্ল করি। প্রায় সব বছরই আমার ষ্টলে বেশী বিক্রি হয়”।
এই উৎসবে বেশ কয়েক রকম প্রীতি-প্রতিযোগিতা হয়। পেশাদার এবং অপেশাদার চকলেট ব্যাবসায়ীরা এতে অংশ নেন। এই আয়োজনের পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে জর্জ ম্যাসন বিশ্ববিদ্যালয়। এখানকার পুষ্টি ও খাদ্য বিভাগের ব্যবস্থাপক জো উইলসন। তিনি বলেন: “বিচারকরা আজ সকালে চকলেটের স্বাদ নিয়েছেন। স্বাদ, সৌন্দর্য এবং সৃষ্টিশীলতার ভিত্তিতে এই প্রতিযোগিতার বিচার করা হয়”।
দর্শনার্থীরাও ইচ্ছা করলে তাদের পছন্দের প্রতিযোগির পক্ষে ভোট দিতে পারেন। পাশেই স্থানীয় একটি মোটর সাইকেল দলের তত্বাবধানে চলমান নন-চকলেট কার্যক্রমে অংশ নেয় যায়। নন-চকলেট কার্যক্রম সম্পর্কে বলেন, “এখানে আমরা আই-ক্যান্ডি হিসাবে এসেছি। এইসব হার্লে ডেভিডসন বাইক, দর্শনার্থীদের আনন্দ দেয়ার জন্য আনা হয়েছে। তারা দেখবেন, কেউ চাইলে এর ওপর বসবেন। চকলেট প্রেমীদের উৎসবে এ একটি বাড়তি আকর্ষণ”।
হারম্যান বললেন, এই উৎসকটি শুধু চকলেট আর মজার জন্যই নয়: “এর আরেকটি উদ্দেশ্য হচ্ছে ডাউনটাউনের ব্যাবসা বানিজ্যে আরেকটু গতি সঞ্চার করা”।
মেলিসা গুজম্যান একজন চকলেট ব্যবসায়ী। তিনি এক দশক ধরে এই উৎসবে অংশ নিচ্ছেন। বললেন; “এই উৎসবের মোট বিক্রির ২৫ শতাংশ অর্থ ব্যাবসায়ীরা স্চ্ছোসেবী সংগঠনে দান করেন। এই অর্থ সমাজের দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়। তাদের কাজে লাগে”।
চকলেট উৎসবের নানা দিকের মধ্যে এই বিষয়টি সবলেই পছন্দ করেন।
নানান ধরণের, নানান প্রকার প্রকৃতি আকার আকৃতি আর রঙের চকলেট এখানে। রয়েছে পেষ্ট্রি, কাপকেক, ক্যান্ডি এবং আইসক্রীমও। ওয়াশিংটন ডিসির অদূরে ভার্জিনিয়ার ফেয়ারফ্যাক্স ওল্ড টাউনের এই চকলেট প্রেমীদের উৎসবটি যেনো পুরোপুরি চকলেটেরই তৈরী।
“আহ, অবিশ্বস্য। এই ডার্ক চকলেট; অসাধারন স্বদের”; বলছিলেন একজন চকলেট প্রেমী।
শিশু কিংবা বয়স্ক, সব বয়সীরাই চকলেট খাওয়ার আনন্দে মাতোয়ারা।
“এখানে এই অসংখ্য ধরনের চকলেট আমার পছন্দ। আমরা মাত্র শুরু করলাম। বিভিন্ন চকলেট রয়েছে এখানে। এখনো আইসক্রীম খাইনি। পরে খাবো”।
ভালোবাসা দিবসের আগের সাপ্তাহিক ছুটিতে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী এই চকলেট উৎসবের এবার ২১তম বছর। উৎসবের চেয়ারম্যান লেসলী হারমান। এ প্রসঙ্গে তিনি বললেন: “প্রতি বছরই উৎসবটি বড় হচ্ছে। বড় ধরনের তুষারপাত বা ঝড় বাদে, আবহাওয়া কেমন থাকে না থাকে সেটি কোন ব্যপার না। বৃষ্টি বাদল তুষারপাত বা ঠান্ডার মধ্যেও সবাই এখানে আসেন। সাধারণত ১০ হাজার লোক সমাগম হয়”।
অনেকেই এই চকলেট উৎসবে স্বেচ্ছাসেবীদের দেয়া প্যান-কেক দিয়ে সকালের নাস্তা করেন। চকলেটের স্বাদ নেয়ার স্থানে ৪০ জনের মত দোকানদার ষ্টল করেন।
ডেবি ওয়ালশ ২০ বছর ধরে এই উৎসবে দোকান করেন, নানা ধরনের চকলেটর পসরা সাজান তিনি।
“প্রতি বছরই আমি এখানে আসি। আমার ভালো লাগে। অনেক পুরোনো মুখ দেখি, নতুনদের সঙ্গে পরিচয় হয়। ভালো ভালো চকলেট দিয়ে চকলেট-প্রেমীদেরকে প্রফুল্ল করি। প্রায় সব বছরই আমার ষ্টলে বেশী বিক্রি হয়”।
এই উৎসবে বেশ কয়েক রকম প্রীতি-প্রতিযোগিতা হয়। পেশাদার এবং অপেশাদার চকলেট ব্যাবসায়ীরা এতে অংশ নেন। এই আয়োজনের পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে জর্জ ম্যাসন বিশ্ববিদ্যালয়। এখানকার পুষ্টি ও খাদ্য বিভাগের ব্যবস্থাপক জো উইলসন। তিনি বলেন: “বিচারকরা আজ সকালে চকলেটের স্বাদ নিয়েছেন। স্বাদ, সৌন্দর্য এবং সৃষ্টিশীলতার ভিত্তিতে এই প্রতিযোগিতার বিচার করা হয়”।
দর্শনার্থীরাও ইচ্ছা করলে তাদের পছন্দের প্রতিযোগির পক্ষে ভোট দিতে পারেন। পাশেই স্থানীয় একটি মোটর সাইকেল দলের তত্বাবধানে চলমান নন-চকলেট কার্যক্রমে অংশ নেয় যায়। নন-চকলেট কার্যক্রম সম্পর্কে বলেন, “এখানে আমরা আই-ক্যান্ডি হিসাবে এসেছি। এইসব হার্লে ডেভিডসন বাইক, দর্শনার্থীদের আনন্দ দেয়ার জন্য আনা হয়েছে। তারা দেখবেন, কেউ চাইলে এর ওপর বসবেন। চকলেট প্রেমীদের উৎসবে এ একটি বাড়তি আকর্ষণ”।
হারম্যান বললেন, এই উৎসকটি শুধু চকলেট আর মজার জন্যই নয়: “এর আরেকটি উদ্দেশ্য হচ্ছে ডাউনটাউনের ব্যাবসা বানিজ্যে আরেকটু গতি সঞ্চার করা”।
মেলিসা গুজম্যান একজন চকলেট ব্যবসায়ী। তিনি এক দশক ধরে এই উৎসবে অংশ নিচ্ছেন। বললেন; “এই উৎসবের মোট বিক্রির ২৫ শতাংশ অর্থ ব্যাবসায়ীরা স্চ্ছোসেবী সংগঠনে দান করেন। এই অর্থ সমাজের দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়। তাদের কাজে লাগে”।
চকলেট উৎসবের নানা দিকের মধ্যে এই বিষয়টি সবলেই পছন্দ করেন।