গতকাল তৃণমূল কংগ্রেসের আহবানে ব্রিগেড সমাবেশে ব্যাপক জনসমাগম দেখে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে বামেরাও । বিশেষত বামফ্রন্টের প্রধান শরিক সিপিএমের কাছে তাদের প্রস্তাবিত আগামী ৩রা ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডের জনসভা যত বড় মাপের করা যায় সেদিকে লক্ষ রেখেই প্রচারও শুরু করল বামেরা পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় । ....
পশ্চিম বঙ্গ বামফ্রন্টের প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিমান বসু এবং সিপিআইএম পার্টি রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রর মতো শীর্ষনেতারা শরিক দলগুলির সঙ্গে ইতিমধ্যেই দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করে তাদের দলীয় কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী ৩রা ফেব্রুয়ারির ব্রিগেড সমাবেশে ব্যাপক সংখ্যায় কর্মীদের হাজির করানোর বার্তা দিয়ে রেখেছেন। সিপিএম পার্টির রাজ্য সদর দপ্তর আলিমুদ্দিনের কড়া বার্তা, কোনও নেতাকর্মীর গরহাজির বরদাস্ত করা হবে না।
শুধুমাত্র অসুস্থ হলে ছাড় দেওয়া হবে। সব বাম শরিকই সিপিএম পার্টির এই ‘নির্দেশ’ মেনে নিয়েছেন।অপরদিকে সিপিএম পার্টির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করে সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন গতকালের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্রিগেড সমাবেশ প্রসঙ্গে,“নিজেদের সংগঠন না বাড়িয়ে ব্রিগেডে ভিড় বাড়িয়ে লাভ কী?” অর্থাৎ লোকসভা ভোটের আগে সংগঠন মজবুত করার পাশাপাশি ব্রিগেডে বড় মাপের সমাবেশকেও গুরুত্ব দিচ্ছে তাঁরা। সীতারামের ইয়েচুরির কথায়,“সিপিএম চাইছে ভারত থেকে বিজেপিকে সরাতে আর রাজ্য থেকে তৃণমূলকে সরাতে।”