অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জাতিসংঘে মিয়ান্মারের রাষ্ট্রদূত এখন কে !


মিয়ান্মারের দুটি সরকারের পত্যেকেই এখন দাবি করছে যে তারাই জাতিসংঘে তাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করে এবং এর ফলে এখন সম্ভবত সদস্য রাষ্ট্রগুলো হস্তক্ষেপ করে সিদ্ধান্ত নেবে যে কার রাষ্ট্রদূতকে তারা স্বীকৃতি দেবে। জাতিসংঘের মুখপাত্রী স্টিফেনি দুজারিচ সংবাদাতাদের নিশ্চিত করেন যে তাঁরা দুটি চিঠি পেয়েছেন এবং চিঠিদুটি এখন পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে।

মিয়ান্মারের দুটি সরকারের পত্যেকেই এখন দাবি করছে যে তারাই জাতিসংঘে তাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করে এবং এর ফলে এখন সম্ভবত সদস্য রাষ্ট্রগুলো হস্তক্ষেপ করে সিদ্ধান্ত নেবে যে কার রাষ্ট্রদূতকে তারা স্বীকৃতি দেবে। জাতিসংঘের মুখপাত্রী স্টিফেনি দুজারিচ সংবাদাতাদের নিশ্চিত করেন যে তাঁরা দুটি চিঠি পেয়েছেন এবং চিঠিদুটি এখন পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন সোমবার তিনি মিয়ান্মারের রাষ্ট্রদূত কিয়াও মো তুনের কাছ থেকে একটি চিঠি পান যিনি অক্টোবর মাসে এই দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং তিনি এখনও জাতিসংঘে মিয়ান্মারের প্রতিনিধি। মিয়ান্মারের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছ থেকে মঙ্গলবার দ্বিতীয় একটি বার্তা পাওয়া যায় যেখানে জাতিসংঘের মহাসচিবকে জানানো হয় যে জাতিসংঘ মিশনের উপ-রাষ্ট্রদূতকে ২৮শে ফেব্রুয়ারি থেকে চার্জ দ্য এফায়ার্স পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। দুজারিচ বলেন, “ সত্যি কথা বলতে কি, আমরা একটা ব্যতিক্রমি পরিস্থিতিতে রয়েছি যা আমরা দীর্ঘ দিন দেখিনি। আমরা আইনি নিয়ম-নীতি এবং এর অন্যান্য প্রতিক্রিয়া যাঁচাই করার চেষ্টা করছি”।

গত শুক্রবার সাধারণ পরিষদের এক বৈঠকে মিয়ান্মারের রাষ্ট্রদূত কিয়াও মো তুন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন জানান যাতে তিনি সব রাষ্ট্রকেই পয়লা ফেব্রুয়ারির সামরিক অভুত্থান প্রত্যাখান করতে এবং যে কোন উপায়ে জনগণকে রক্ষা করার কথা বলেন। পরের দিনই মিয়ান্মারের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশন ঘোষণা করে যে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে জাতিসংঘের মহসচিবকে দেয়া অনুলিপিসহ, সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্টকে দেয়া চিঠিতে কিয়াও বলেন তাঁকে নিয়োগ দিয়েছিলেন মিয়ান্মারের বৈধ ভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ঊ উইন মিন্ট এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আওন সান সূচি যাঁদের উভয়কেই এই অভূত্থানের সময় থেকে বন্দি করে রাখা হয়েছে।

XS
SM
MD
LG