আজ বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে নারী দিবস। জাতি, ধর্ম বর্ণ, ভাষা বা সামাজিক মাধ্যম অথবা অর্থনৈতিক বিভেদ ঘুচিয়ে নারীদের কৃতিত্ব তুলে ধরা হচ্ছে। বিংশ শতাব্দীতে উত্তর আমেরিকা থেকে শুরু করে সারা ইউরোপে শ্রমিক আন্দোলনের নানা কার্যক্রম থেকেই এর যাত্রা শুরু। ভয়েস অব আমেরিকার রিপোর্ট থেকে বিস্তারিত শুনুন তাহিরা কিবরিয়ার কাছে।
সামাজিক মাধ্যমে যে প্রচার শুরু হয়েছিল হেশট্যাগ ME TOO এবং হেশট্যাগ NO MORE এই শ্লোগানই এবারের অন্তর্জাতিক নারী দিবসের মূলমন্ত্র। এখন এ বিষয়টি কেবল মাত্র হলিউড-এর চিন্তার বিষয় নয়। প্লাগড ইন টেলিভিশন অনুষ্ঠানের পরিচালিকা গ্রেটা ভ্যান সাসটার্নকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে কংগ্রেসওম্যান সুজান ব্রুকস বলেছেন নারীদের যৌন হয়রানীর বিষয় মোকাবেলায় আমেরিকার সরকারী পর্যায়ে থেকে বেসরকারিপর্যায় অনেক বেশি এগিয়ে। যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের Ethics Committee Chairwoman সুজান ব্রুক্স বললেন,
“আপনারা যেমনটি জানেন প্রতিনিধি পরিষদের এথিকস কমিটির চেয়ার হিসেবে-এবং কংগ্রেসেও এবিষয়টি আমরা দেখছি। এ নিয়ে আমরাঅবশ্যই কাজ করছি তবে দ্বীদলীয় যে প্রচেষ্টা সেখানে আমি থাকতে পেরে নিজেকে আমি গর্বিত বোধ করি।কংগ্রেসের মহিলা ও পুরুষ সদস্যরা কাজে অগ্রগতি লাভ করেছেন যাতে মানুষ এগিয়ে এসে যৌন হয়রানী সম্পর্কে অভিযোগ করতে পারেন।
আমেরিকায় সামাজিক মাধ্যমে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল তাভাইরাল আকারেই প্রায় বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পরে এমন কি পাকিস্তানেও। ভয়েস অব আমেরিকার
ইসলামাদ ব্যুরো প্রধান আয়েশা তানজিম এ বিষয়ে পাকিস্তানে কি হচ্ছে তার উপরে নজর রাখছেন। তিনি বললেন, “আমেরিকায় মি টু আন্দোলন যখন শুরু হয় তার আঁচ পাকিস্তানেও পড়েছে পাকিস্তানী নারীরা তাদের “মি টু’ অর্থাৎ একান্ত না-বলা কথাগুলো সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করতে শুরু করেছেন এবং তারা যেন এভাবে হলিউডের সংগে যোগাযোগ স্থাপন করে একই সুরে বলছেন আমরাও একিই ভাবে ভুগছি। এ বিষয়ে আফগানিস্তান তেমন একটা সোচ্চার নয়। ১৯৭৫ সালে বেজিং-এ অনুষ্ঠিত জাতি সংঘের নারী বিষয়ক সম্মেলনে সেই সময়কার ফার্স্ট লেডি হিলারী ক্লিন্টন এক বিশেষ বার্তা তুলে ধরেন। তিনি বললেন, “এই সম্মেলন থেকে যদি একটি বার্তা প্রতিধ্বনিত হয় তা হ’লে সেটা হবে মানবাধিকার নারীর অধিকার, নারীর অধিকার মানবাধিকার।”
বিস্তারিত রিপোর্টটি শুনতে অডিওতে চাপ দিন