আজ ১৬ অক্টোবর সমগ্র বিশ্বের সঙ্গে ভারতেও বিশ্ব খাদ্য দিবস পালিত হচ্ছে। পিছিয়ে নেই কলকাতাও।একটা হিসেব অনুযায়ী, ভারতে সারা বছরে যত খাবার নষ্ট হয় তা দিয়ে গোটা মিশরের মানুষের সম্বৎসরের খাবার যোগানো যায়। এই বিপুল পরিমাণ খাবার বাঁচিয়ে ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে যতটা সম্ভব তুলে দিতে উদ্যোগী হয়েছে বহু ভারতীয় সংস্থা। একটু দেরিতে হলেও কয়েক বছর হলো কলকাতাও এব্যাপারে এগিয়ে এসেছে। ২০১৪ সালে এই রাজ্যের প্রথম ফুড ব্যাংক খোলা হয় কলকাতায় রোটারি ক্লাবের উদ্যোগে। এর পর গত বছর শহরের একটি জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ সঞ্ঝা চুলার এক মালিক আসিফ আহমেদ পার্ক সার্কাসে একটি ফুড এটিএম বসান। কাচের দরজা দেওয়া একটা বড় রেফ্রিজারেটর, যে কেউ তাঁর উদ্বৃত্ত খাবার তার ভেতরে রেখে যান, ক্ষুধার্ত মানুষ দরজা খুলে দরকার মতো খাবার নিয়ে খান। রেস্তোরাঁগুলোতে কি খাবার নষ্ট হয়? সল্ট লেকের নামী রেস্তোরাঁ চার্নক'স এর মালিক মন্দিরা মুখার্জি বলেন..
আসলে উৎসব অনুষ্ঠানে অকারণ যে বিপুল পরিমাণ খাবারের আয়োজন করা হয়, তার অনেকটাই নষ্ট হয়। সেটা বন্ধ করার জন্য দরকার মানসিকতার পরিবর্তন। তা নয়তো বিশ্ব থেকে ক্ষুধা দূর করা সম্ভব হবে না।
দীপংকর চক্রবর্তী, ভয়েস অফ আমেরিকা, কলকাতা