লন্ডনে, কেনিয়া ও যুক্তরাজ্য আয়োজিত GLOBAL EDUCATION SUMMIT 'র দ্বিতীয় ও চুড়ান্ত দিন ছিল বৃহস্পতিবার। এতে বিশ্বের বহু দেশের সরকার ও সংস্থাসমূহ, শিক্ষা বিষয়ে বিশ্বজনীন অংশীদারিত্ব কর্মসূচিতে ৪০০ কোটি ডলার দিতে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। এই কর্মসূচির আওতায় ৯০টি দেশে এবং অঞ্চলে যে ৮০% ছেলেমেয়েরা স্কুলে যায় না তারা সরকারি শিক্ষা কার্যক্রমে অবাধে প্রবেশাধিকারের সুযোগ পাবে।
সম্মেলনে সমতার ভিত্তিতে সরকারি শিক্ষা কর্মসূচির প্রতি জোর দেয়া হয়, যাতে এই হুঁশিয়ারি দেয়া হয় যে, কোভিড-১৯ সংক্রমণ স্বল্পোন্নত দেশগুলির অর্থাভাব গ্রস্ত সরকারি শিক্ষা কার্যক্রমকে ইতিমধ্যেই বিপর্যস্ত করেছেI বিশেষজ্ঞরা হুশিয়ার করে দেন যে, মহামারির কারণে যারা স্কুল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে, তাদের ফিরে আসার সম্ভাবনা কমI
অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড, ২৯শে জুলাই লন্ডনে বিশ্ব শিক্ষা সম্মেলনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় দিনে বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিটি দেশের শিক্ষা কর্মসূচিকে ব্যাহত করেছে, তবে যেসব দরিদ্র দেশে ইন্টারনেট পরিষেবা বা বিদ্যুৎ সরবরাহ সীমিত, সেখানে পরিবারগুলি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেI
গিলার্ড বলেন, এই প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে আমাদের অংশীদারিত্ব আগামী ৫ বছরে ৫০০ কোটি ডলার লক্ষ্যমাত্রা সম্পন্ন করতে পারবে।
নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়িনী ও পাকিস্তানে নারী শিক্ষায় সক্রিয়বাদী, মালালা ইউসুফজাই ঐ সম্মেলনে তাঁর ভাষণে অল্প বয়সী মেয়ে যারা প্রায়শই বৈষম্যের শিকার, তাদের শিক্ষার সুযোগের গুরুত্বের প্রতি জোর দেনI তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, ১৩ কোটি শিশু, যারা কভিড সংক্রমণের কারণে স্কুলে যেতে পারেনি, তাদের ভবিষ্যতের জন্য লড়াই হবে যথার্থI