ডনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের পর ভয়েস অফ আমেরিকার সংবাদদাতারা বিশ্বব্যাপী লোকজনের প্রতিক্রয়া জানতে চাইলে , তাঁরা প্রশংসা এবং শঙ্কা মেশানো মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
মস্কোতে রাস্তায় প্রতিক্রিয়া ছিল মিশ্র। একজন অবসরপ্রাপ্তা মহিলা লিদিয়া ভারোনোভা বলেন , “ আমরা আশা করছি রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটবে এবং সিরিয়ায় যা ঘটছে তা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য তাঁরা অভিন্ন ভাষায় কথা বলবেন। একটি পত্রিকার একজন তরুণ সম্পাদক যিনি সার্গ নামে নিজের পরিচয় দিলেন , তিনি বলেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ট্রাম্প হচ্ছেন একজন বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট তবে তিনি আশা করেন তিনি আমেরিকান জনগণের আস্থা অর্জনে সমর্থ হবেন।
ট্রাম্পের অভিষেক-উত্তর ভাষণে তিনি স্পষ্টতই সবার আগে আমেরিকা , দেশের জন্যে এই নীতিটি তুলে ধরেন। মেক্সিকোতে এ নিয়ে অবশ্য এক ধরণের ভীতি কাজ করছে। সেখানকার একটি মর্যাদাসম্পন্ন সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রসেসো লিখেছে , যুদ্ধ আসন্ন। মেক্সিকো সিটিতে , প্যান আমেরিকান ইউনিভার্সিটির একজন মিডিয়া বিশেষজ্ঞ হোসে লুইস লোপেস অ্যাগুরে বলছেন ট্রাম্প যে ভাবে টুইটার এবং অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করেন , তাতে আমেরিকায় বিভাজন বাড়ছে।
পশ্চিম আফ্রিকায় নিজার ও নাইজেরিয়া উভয় দেশের বাশিন্দারা নতুন প্রশাসনের ব্যাপারে খুব উচ্ছসিত বলে মনে হয়েছে। আফগানিস্তানে একজন অবসরপ্রাপ্ত আইন জীবি বলছেন তিনি মনে করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প , তাঁর পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ে বড় রকমের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী হতে পারেন।
দক্ষিণ কোরিয়া একজন তরুণ বলেন যে সবার আগেআমেরিকা , তাঁর এই নীতির কারণে ভবিষ্যতের জন্য তিনি উদ্বিগ্ন। তবে তিনি আশাবাদ ও ব্যক্ত করেন যে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে মৈত্রির ক্ষেত্র প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারেন।
শিকাগোতে বসবাসকারী উত্তর কোরিয়ার এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন তিনি আশা করছেন আমেরিকার অর্থনীতিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চাঙ্গা করে তুলবেন যাতে করে লোকজন উন্নত জীবন যাপন করতে পারেন।