অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আজ নির্ধারিত সময়ের অনেকটা আগেই সকাল ন'টা নাগাদ ওড়িশার উপকূল ভাগে ঢুকে পড়ে। ঘন্টা চারেক ধরে তার স্থলভূমিতে আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া চলতে থাকে। তার প্রভাবে ওড়িশা সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু উপকূলবর্তী এলাকা প্রবল ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের মুখে পড়ে। দীঘা, শঙ্করপুর, তাজপুর ইত্যাদি অঞ্চল বানভাসি হয়ে যায়। রাস্তাঘাটের কোথাও কোথাও গলা সমান জল। জলের স্রোত বেশ কিছু গাড়ি, কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের গাড়িও ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
সুন্দরবনের শতাধিক মাটির বাঁধ ভেঙে কোথাও লোনা জল কোথাও নদীর জল ঢুকে পড়ে। জলমগ্ন বেশ কিছু মানুষকে দড়ি দিয়ে টেনে উদ্ধার করতে হয়। এত কিছুর মধ্যে কলকাতা বেঁচে গিয়েছে ঝড়ের এবং অতিবৃষ্টির হাত থেকেও।
গতকাল রাত থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পদস্থ অফিসারদের সঙ্গে নিয়ে নবান্নে সারা রাত কাটান। বিভিন্ন অত্যাবশ্যক পরিষেবা চালু রাখা, সকলের মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করা, সেইসঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান ও কোথায় কোথায় তা আঘাত হানতে পারে সেদিকে নজর রাখা, ইত্যাদি করার ফলে বহু লোকের প্রাণ বেঁচেছে, বহু লোককে সময় মতো আশ্রয় শিবিরে পাঠানো গিয়েছে।