বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করা মামলায় গ্রেফতারের পর ঢাকার অদূরে কাশিমপুর কারাগার থেকে রোববার বিকেলে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলাম।
কারা ফটকে তাঁকে স্বাগত জানানা তার পরিবারের সদস্যরা এবং সাংবাদিকরা । মুক্তি পাওয়ার পর রোজিনা ইসলাম বলেন তিনি সাংবাদিকতা চালিয়ে যাবেন এবং সাংবাদিকসহ যারা তাঁর পাশে ছিলেন তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এর আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করা মামলায় গ্রেফতারের পর আজ শর্ত সাপেক্ষে রোজিনা ইসলামের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছে ঢাকার একটি আদালত। একজন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং নিয়জিত আইনজীবীর জিম্মায় পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় এবং তাঁর পাসপোর্ট জমা দেয়ার শর্তে আদালত রোজিনা ইসলামকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছে। রোজিনা ইসলামের আইনজীবী এহসানুল হক সাংবাদিকদের বলেছেন রোজিনা ইসলামকে জামিন দেয়ার জন্য রাষ্ট্র পক্ষ থকে যে শর্ত দেয়া হয়েছে সে ব্যাপারে কোন দ্বিমত পোষণ করা হয় নাই।
এদিকে, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিক এবং অন্যান্য শ্রেণী পেশার মানুষ আজও রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং তাঁকে নির্যাতনের প্রতিবাদে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ করেছন। সাংবাদিক নেতার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যাপক দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রথম আলোতে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় প্রায় শত বছরের পুরাতন ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলের অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে তাঁর বিরুদ্ধে করা তাঁদের ভাষায় প্রতিহিংসা মুলক মিথ্যা মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যে সকল কর্মকর্তা রোজিনা ইসলামকে ৫ ঘণ্টার ওপর একটি কক্ষে আটক করে তাঁর ওপর নির্যাতন চালিয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্ত এবং শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের জামিনের রায় 'ফরমায়েশি’ বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। জামিন পাওয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির এমন অভিযোগ করেন । তবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের জামিন পাওয়ার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে আদালত সম্পূর্ণ স্বাধীন।