বাংলাদেশে গত কয়েক দিনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের গ্রাফ দ্রুত ঊর্ধ্ব মুখি হতে থাকায় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও গবেষকরা সংক্রমন নিয়ন্ত্রণে মানুষকে স্বাস্থ্য বিঁধি কঠোরভাবে মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশের এখন চিন্তার প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে পাওয়া করোনা ভাইরাসের বিপজ্জনক ভ্যারিয়েন্ট সমুহ। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে দেশে দ্রুত করোনা সংক্রমনেরে চিত্র উদ্বেগের কারন হলেও এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নাই। তাঁদের মতে করোনা সংক্রমন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য মাস্ক ব্যাবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং একই সাথে অন্যান্য স্বাস্থ্য বিধি মানতে হবে।
এক গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে দেশে বর্তমানে মাত্র ২০ শতাংস মানুষ মাস্ক ব্যাবহার করছেন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন মাস্ক ব্যাবহার করলে এবং স্বাস্থ্য বিধি মানলে সংক্রমণের হার কমে যায় এবং এর তোয়াক্কা না করলে সংক্রমন বেড়ে যায়।
তাঁদের মতে সম্প্রতি মাস দেড়েক দেশে সংক্রমনের হার অনেকটা কমে গেলে অনেকে স্বাস্থ্য বিধির তোয়াক্কা না করে বেপরোয়া আচরন শুরু করায় সংক্রমের হার দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে। অনেকে করোনার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েও বেপরোয়া আচরন করছেন বলে উল্লেখ করে তাঁরা বলেন টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার অন্তত তিন সপ্তাহ পর শরিরে এণ্টিবডি বা প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হওয়া শুরু হয়। করোনার টিকা সম্পর্কে বাংলাদেশের রোগ নিয়ন্ত্রন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন টিকা মানুষের শারিরে পূর্ণ ভাবে কার্যকর হয় দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার দুই সপ্তাহ পরে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন টিকা পূর্ণ ভাবে কার্যকর হলেও তা শতভাগ সুরক্ষা দেয়ার গ্যারান্টি কোন টিকা প্রস্তুতকারকই দেয় নাই। তাই দুই ডোজ টিকা নেয়ার পরও পূর্ণ সুরক্ষা পেতে মাস্ক ব্যাবহার করতে হবে এবং স্বাস্থ্য বিধি মানতে হবে বলে তাঁরা উল্লেখ করেন। তবে তাঁরা অবশ্য বলেছেন টিকা নিলে যদি কোন কারনে সংক্রমন হয়ও তবে তার মাত্রা হবে মৃদু।
এদিকে, সরকারে স্বাস্থ্য বিভাগ সোমবার জানিয়েছে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৩০ জন করোনা রোগী এবং করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ২৮০৯ জন।