অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

দুই মিনিটে মুহিবুল্লাহকে হত্যা; কিলিং স্কোয়াডে ছিল পাঁচ অস্ত্রধারী 


ফাইল ফটো: আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের নেতা মহিব উল্লাহ বাংলাদেশের কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্পে ফোনে কথা বলেছেন। ৭ এপ্রিল, ২০১৯।
ফাইল ফটো: আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের নেতা মহিব উল্লাহ বাংলাদেশের কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্পে ফোনে কথা বলেছেন। ৭ এপ্রিল, ২০১৯।

মাত্র দুই মিনিটেই রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহকে হত্যার মিশন শেষ করে পালিয়ে যায় খুনিরা। আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহ হত্যায় কিলিং স্কোয়াডে ছিল পাঁচ অস্ত্রধারী। এ হত্যাকান্ডে ১৯ জন জড়িত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জেরিন সুলতানার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন গ্রেফতারকৃত আজিজুল হক।

অন্যদিকে আজ প্রেস ব্রিফিংয়ে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসপি নাঈমুল হক বলেন, ঘটনায় জড়িত আজিজুল হক ছাড়াও কুতুপালং ক্যাম্প-১ এর ডি ৮ ‘ব্লকের আবদুল মাবুদের ছেলে মোহাম্মদ রশিদ প্রকাশ মুরশিদ আমিন ও একই ক্যাম্পের বি ব্লকের ফজল হকের ছেলে মোহাম্মদ আনাছ ও নুর ইসলামের ছেলে নুর মোহাম্মদকে তারা গ্রেফতার করেছেন।

জিজ্ঞাসাবাদে আজিজুলের স্বীকারোক্তির কথা জানিয়ে এসপি নাঈমুল হক বলেন, মুহিবুল্লাহর হত্যার দুই দিন আগে মরগজ পাহাড়ে কিলিং মিশনের জন্য বৈঠক করে তারা। সেখানে পাঁচজনকে অস্ত্রসহ মোট ১৯ জনকে নির্দেশ দেওয়া হয় মিশন শেষ করার জন্য। গ্রেফতার হওয়া আজিজুল হক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, হত্যার কারণ, ‘মাস্টার মুহিবুল্লাহ রোহিঙ্গাদের বড় নেতা হয়ে উঠেছেন। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন সংক্রান্তে বিশেষ ভূমিকা পালন করায় দিন দিন তিনি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়ে উঠেছেন। তাকে থামাতে হবে।’ এই কারণে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়এবং পরিকল্পিতভাবেই তাকে হত্যা করা হয়।

XS
SM
MD
LG