অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

রোহিঙ্গা শিশুরা আবার ফিরে গেছে ক্লাসে


শরণার্থী শিবিরের অস্থায়ী স্কুলে রোহিঙ্গা শিশুরা - ফাইল ফটো- রয়টার্স
শরণার্থী শিবিরের অস্থায়ী স্কুলে রোহিঙ্গা শিশুরা - ফাইল ফটো- রয়টার্স

রোহিঙ্গা শিশুরা ক্লাসরুমে ফিরলো। প্রায় এক লাখ ৬৪ হাজার রোহিঙ্গা শিশু বুধবার থেকে ক্লাসে ফিরেছে। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী স্কুল বন্ধ থাকার কারণে পড়াশোনায় একটা ছেদ পড়েছিল। টানা বন্ধ ছিল ১৮ মাস। স্কুল খোলার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সেভ দ্য চিলড্রেন।

দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় অনেক শিশুকে শ্রমিক হিসেবে কাজে লাগিয়ে দিয়েছিলেন তাদের বাবা-মা। কাউকে আবার অল্প বয়সে বিয়ের পিঁড়িতেও বসিয়ে দেয়া হয়েছিল। সরকারের তরফে বলা হয়েছে, জাতীয়ভাবে এবং শুধু কক্সবাজারে কোভিড-১৯ এর জন্য পজিটিভ পরীক্ষার শতকরা পাঁচ ভাগ নেমে এসেছে। এই অবস্থায় দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ শ্রেণীর শিশুদের জন্য লার্নিং সেন্টারগুলো পুনরায় চালু করা যেতে পারে।

১২ই সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশের স্কুলগুলো খুলে দেয়া হয়। অপেক্ষায় ছিল রোহিঙ্গা শিশুরা। এই অপেক্ষার পালা শেষ হয়েছে। সেভ দ্য চিলড্রেন অন্যান্য বয়সের শিক্ষার্থীদেরও তাদের শ্রেণীকক্ষে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছে। পাশাপাশি মিয়ানমার থেকে পাঠ্যক্রম ব্যবহার করে একটি পাইলট প্রোগ্রামের জন্য অনুমতি দেয়ার প্রস্তাব করেছে সেভ দ্য চিলড্রেন।

উল্লেখ্য যে, কক্সবাজারে শরণার্থী শিবিরে প্রায় ৯ লাখ উদ্বাস্তুদের মধ্যে ৪ লাখ ৫৬ হাজার শিশু রয়েছে। সংস্থাটির বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর অনো ভ্যান ম্যানেন বলেছেন, রোহিঙ্গা শিশু ও পরিবারগুলো শিক্ষার পরিবেশে ফিরে যেতে আগ্রহী। রোহিঙ্গা শিশুদের যথাযথ শিক্ষা প্রদানের জন্য প্রচেষ্টাগুলো দ্বিগুণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন ম্যানেন।

তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গা পরিবারকে তাদের সন্তানদের স্কুলে ফেরত পাঠানোর জন্য বুঝাতে হবে। তাছাড়া রোহিঙ্গা শিশুদের মিয়ানমারের পাঠ্যক্রম ব্যবহার করে তাদের মাতৃভাষায় লেখাপড়ার অনুমতি দেয়ার জন্য পাইলট প্রোগ্রামের সম্প্রসারণের প্রস্তাবও দেন সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর।

সেভ দ্য চিলড্রেন ইতিমধ্যে রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশি শিক্ষকদের সহায়তায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের শিক্ষা প্রদানের দায়িত্ব পালন করছে। কক্সবাজারেই ১০০টি লার্নিং সেন্টার চালু রয়েছে। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী তাদের শিক্ষার অধিকার থেকে যাতে বঞ্চিত না হন সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটি।

XS
SM
MD
LG