সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য ২৭ দিন পর তার অফিসে ফিরেছেন।
রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে, একই দিন শাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগ উপাচার্য বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করেছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ এ কথা জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে তারা সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু ও পাঠদানের যথোপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে কিছু দাবি উপস্থাপন করেছে। দাবিগুলো হচ্ছে—অতিদ্রুত ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা। যত দ্রুত সম্ভব অনলাইন/অফলাইনে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করা। ১৬ জানুয়ারি পুলিশি হামলায় আহত ছাত্রলীগসহ সকল শিক্ষার্থী যারা ইতিমধ্যে নিজের ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসা করেছেন তাদের ব্যয় বহন করা। সকল হলের ডাইনিং-ক্যান্টিন-ক্যাফেটেরিয়া খুলে দেওয়া এবং খাবারের গুণগত মান বৃদ্ধি ও মূল্য হ্রাস করা। অতি দ্রুত ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত আধুনিক ফুডকোর্টের ব্যবস্থা করা ও নির্মাণাধীন ফুডকোর্টের কাজ শেষ করা।
এ ছাড়া বিভিন্ন দেয়ালের দেয়াল লিখন মুছে ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক সৌন্দর্য বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে তারা।
হল খুলছে সোমবার–অনলাইন ক্লাস শুরু মঙ্গলবার
দীর্ঘ ২৭ দিন পর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) একাডেমিক কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আগামী মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগে ক্লাস শুরু হবে। সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে খোলা থাকবে সকল আবাসিক হল।
রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেনের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন চৌধুরী।
এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অসদাচরণসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন কয়েক শ ছাত্রী। ১৬ জানুয়ারি দাবি আদায়ের লক্ষ্যে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে এবং তাদের লক্ষ্য করে গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। পরে এই আন্দোলন উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রূপ নেয়।
এ ঘটনায় গত শুক্রবার সিলেট সার্কিট হাউসে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বৈঠক হয়। তারা মামলা প্রত্যাহারসহ শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এ ছাড়া উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিটি শিক্ষামন্ত্রী আচার্যের (রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ) কাছে উপস্থাপন করবেন।