অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় খোলা হল ১৯ আশ্রয়কেন্দ্র


চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় আগ্রাবাদ, বাকলিয়া, কাট্টলী ও চান্দগাঁও সার্কেলে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে
চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় আগ্রাবাদ, বাকলিয়া, কাট্টলী ও চান্দগাঁও সার্কেলে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে

চট্টগ্রামে লাগাতার বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসে চারজনের মৃত্যুর পর, আরও প্রাণহাণির আশঙ্কায় খোলা হয়েছে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে বা পাহাড়ের ওপর বসবাসকারীরা যাতে সরে গিয়ে নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারে, সে জন্য জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শনিবার (১৮ জুন) চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ, বাকলিয়া, কাট্টলী ও চান্দগাঁও সার্কেলে এসব আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের স্টাফ অফিসার প্লাবণ কুমার বিশ্বাস।

জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী; নগরীর খুলশী, পাহাড়তলী, আকবরশাহ এলাকার ঝিল-১, ২ ও ৩ নম্বর এলাকা, এ.কে খান রোড, বিশ্ব কলোনি, ফিরোজশাহ, ফরেস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট এলাকা, মতিঝর্ণা, বাটালি হিল, জিয়ানগর, রউফাবাদ, শান্তিনগর, ট্যাংকির পাহাড়, মুজিবনগর, আমিন জুট মিলস এলাকা, মধ্যমনগর ও বায়েজিদ-ফৌজদারহাট সিডিএ লিংকরোড এলাকায় ধসের আশঙ্কা রয়েছে।

স্টাফ অফিসার প্লাবণ কুমার বিশ্বাস বলেন, “গতকাল থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় জেলা প্রশাসের পক্ষ থেকে নিরাপদ স্থানে সরে আসতে মাইকিং করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে খোলা হয়েছে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র।”

প্লাবণ কুমার বিশ্বাস আরও বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আমাদের ভলান্টিয়ার রয়েছে। কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে আগ্রহ দেখালে আমাদের ভলান্টিয়াররা তাদের সেখানে নিয়ে যাবে। চেষ্টা করছি ঝুঁকিপূর্ণভাবে যারা পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছে তাদের সরিয়ে আনতে।”

এর আগে, শুক্রবার (১৭ জুন) দিবাগত রাতে, আকবর শাহ থানার বরিশাল ঘোনা ও ফয়’স লেকের বিজয় নগর এলাকায় পৃথক পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এতে চারজন নারী-পুরুষ প্রাণ হারান। আরও কয়েকজন আহত হয়।

চট্টগ্রামে বৃষ্টি অব্যাহত, নগরজুড়ে জলজট
চট্টগ্রামে বৃষ্টি অব্যাহত, নগরজুড়ে জলজট

এদিকে, চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে নগরজুড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। গত তিনদিনের বৃষ্টিতে হালিশহর বাকলিয়া, আগ্রাবাদ, মুরাদপুর, দুই নম্বর গেট, বহদ্দার হাটসহ নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বিভিন্ন স্থান হাঁটু থেকে কোমর সমান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। শুক্রবার রাতে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের দুই নম্বর গেট অংশেও সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা।

ভারী বর্ষণের কারণে পানি জমে যাওয়ায় দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। পর্যাপ্ত যানবাহন না থাকায় রিকশায় অথবা পায়ে হেঁটে হাঁটু পানি মাড়িয়ে যাত্রা করতে হয়েছে কর্মস্থলে।

চট্টগ্রাম পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, “চট্টগ্রামে গত তিনদিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৪৮ দশমিক ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। রবিবারও (১৯ জুন) বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। নদীবন্দরগুলোকেও দুই নম্বর সতর্ক সংকেত দেখানো হয়েছে।”

XS
SM
MD
LG