বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, “বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশও গ্রিন সাসটেইনেবল এনার্জি ব্যবহার করতে চায়। আর, বাসা-বাড়িতে সোলার প্যানেল ব্যবহার করে ২০ শতাংশ বিদ্যুৎ বিল বাঁচানো সম্ভব।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “প্রতিষ্ঠান বা বাসা-বাড়িতে সোলার প্যানেল ব্যবহার করে জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত করলে, মোট বিদ্যুৎ খরচ ২০ শতাংশ হ্রাস করতে পারে। আপনি যে সোলার প্যানেল ব্যবহার করবেন আপনার ভবনে, সেখান থেকে যে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে, তা আমাদের দিয়ে দেবেন। সেটি যুক্ত হবে জাতীয় গ্রিডে। আর আপনার মোট বিদ্যুৎ ব্যবহার থেকে সেই পরিমাণ বিদ্যুতের বিল বিয়োগ করা হবে। এতে ২০ শতাংশের বেশি বিদ্যুৎ বিল বাঁচানো সম্ভব।”
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) ‘লেটস টক অন গ্রিন ট্রানজিশন’- অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
সোলার প্যানেল স্থাপন প্রসঙ্গে নসরুল হামিদ বলেন, “বাংলাদেশে ব্যক্তিগত উদ্যোগে যে সোলার প্যানেলগুলো স্থাপিত হয়েছে, এর ৫০ শতাংশ খরচ সরকার প্রদান করেছে। বাকি ৫০ শতাংশ আবার ব্যক্তিগত লোন হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রদান করছে। অর্থাৎ সোলার প্যানেল অতি স্বল্প খরচে ব্যবহার করা সম্ভব।”
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আগে নতুন প্রযুক্তি আসতে কয়েক দশক লেগে যেতো, এখন কয়েক মাসের মধ্যে নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে। এ কারণেই আমরাও তা ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি। নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট, এরপর হাইড্রোজেন প্লান্ট; সামনে হয়ত নতুন আরও কিছু আসবে। সেটি ব্যবহারের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা।”
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশও গ্রিন সাসটেইনেবল এনার্জি ব্যবহার করতে চায়। আর গ্রিন এনার্জি সবচেয়ে জনপ্রিয় ইলেকট্রিক যানবাহন বা ই-ভিয়েকেল-এ। ইতোমধ্যেই, ই-ভিয়েকেলের জন্য চার্জিং স্টেশন স্থাপনের কাজ করছি আমরা। এটি দুর্দান্ত একটি বিষয় হবে। আপনি যেই পথ পাড়ি দিতে ৮০ টাকা খরচ করতেন, সেই পথ পাড়ি দিতে ১০ টাকা খরচ হবে;” জানান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
ই-ভিয়েকেল নিয়ে সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রণালয় নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করছে বলে জানান তিনি। জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এ ক্ষেত্রে সবচাইতে গুরুত্ব দেয়া উচিত পাবলিক পরিবহনগুলোকে। বিশেষ করে বাস, ট্রেন এবং কারগুলো যেন ইলেকট্রিক হয়। একবার ভেবে দেখুন, কি পরিমাণে সাশ্রয় হবে।”