অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে পৌঁছেছে আরও ৯৬৩ রোহিঙ্গা


কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে পৌঁছেছে আরও ৯৬৩ রোহিঙ্গা।
কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে পৌঁছেছে আরও ৯৬৩ রোহিঙ্গা।

বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরে পৌঁছেছে আরও ৯৬৩ রোহিঙ্গা। এ নিয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ কেন্দ্রে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩০ হাজার ৭৯ জন।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) বিকাল ৫টার দিকে, ১৪তম ধাপে কক্সবাজার থেকে নৌবাহিনীর চারটি জাহাজযোগে রোহিঙ্গারা ভাসানচর পৌঁছায়।

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তত্ত্বাবধানে, কক্সবাজার থেকে বানৌজা টুনা, বানৌজা ডলফিন এবং বানৌজা পেঙ্গুইন যোগে ৯৬৩ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে আনা হয়। এছাড়াও বানৌজা হাতিয়ার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের লাগেজ ভাসানচরে আনা হয়।

নৌবাহিনীর ভাসানচর ক্যাম্পের অফিসার ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট হাসেম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “নতুন রোহিঙ্গাদের জাহাজ থেকে নামানোর পর নৌবাহিনীর পনটুন সংলগ্ন হ্যালিপ্যাডে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে গাড়িযোগে ৮৮, ৮৯ ও ৯০ নং ক্লাস্টারে বসবাসের জন্য হস্তান্তর করা হয় তাদের।”

ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ইমদাদুল হক বলেন, “কক্সবাজার থেকে ভাসানচর আসা পর্যন্ত পুলিশ রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ছিল। ভাসানচর নামানোর পর, বিভিন্ন পরীক্ষা শেষে রোহিঙ্গাদের নিজস্ব ক্লাস্টারে স্থানান্তর করা হয়।”

উল্লেখ্য, নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় এক হাজার ৬৪২ জন, ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় এ হাজার ৮০৪ জন, ২০২১ সালের ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফায় তিন হাজার ২৪২ জন, ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ দফায় তিন হাজার ১৮ জন, পঞ্চম দফায় ৩ ও ৪ মার্চ চার হাজার ২১ জন, ষষ্ঠ দফায় ১ ও ২ এপ্রিল চার হাজার ৩৭২ জন, সপ্তম দফায় ২৫ নভেম্বর ৩৭৯ জন, অষ্টম দফায় ১৮ ডিসেম্বর ৫৫২ জন, নবম দফায় ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি ৭০৫ জন, দশম দফায় ৩১ জানুয়ারি এক হাজার ২৮৭ জন, একাদশ দফায় এক হাজার ৬৫৫ জন ও দ্বাদশ দফায় দুই হাজার ৯৮২ জন এবং ত্রয়োদশ দফার তিন হাজার ৫৩২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়।

এর আগে ২০২০ সালের মে মাসে সাগর পথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য চেষ্টা করা ৩০৬ জন রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে ভাসানচরে নিয়ে রাখা হয়।

রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে তিন হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। ১৩ হাজার একর আয়তনের ঐ চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।

XS
SM
MD
LG