অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে উন্নীত করতে রিট, রুল জারি


বাংলাদেশের হাইকোর্ট। (ছবি- অ্যাডোবে স্টক)
বাংলাদেশের হাইকোর্ট। (ছবি- অ্যাডোবে স্টক)

বাংলাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের চাকরি ১৩তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার নির্দেশ কেন দে্রয়া হবে না, তা জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে, সোমবার(১৪ নভেম্বর) বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

এছাড়া, সহকারী শিক্ষকদের চাকরি ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার যৌক্তিকতা তুলে ধরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর গত বছরের নভেম্বরে পাঠানো আবেদন এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদাতৈ। শিক্ষা সচিব, শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে, ১০ নভেম্বর বরগুনা জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকরী শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমান-সহ বিভিন্ন জেলার ১৫ জন শিক্ষক হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটকারীরা তাদের চাকরি ১০ম গ্রেড উন্নীত করার নির্দেশনা চান। সে রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিবাদীদের প্রতি রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন ও অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম। ব্যারিস্টার সুমন বলেন,“বাংলাদেশের কয়েক লাখ সহকারী শিক্ষক ১৩তম গ্রেডে বেতন পান। একই শিক্ষাগত যোগ্যতায় চাকরি নিয়ে, সিনিয়র স্টাফ নার্স, কম্পিউটার অপারেটরসহ বিভিন্ন পদে কর্মরত ব্যক্তিরা ১০ম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। এটা শিক্ষকদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ।”

তিনি আরও বলেন, “এছাড়া স্বাধীনতার পর একাত্তর থেকে সাতাত্তর সাল পর্যন্ত সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকরা একই গ্রেডে বেতন পেতেন। এসব কারণে রিট আবেদ করি। আদালত শুনানি শেষে রুল জারি করেছেন। পাশাপাশি সহকারি শিক্ষকদের দশম গ্রেড পাওয়ার যৌক্তিকতা বিষয়ে পাঠানো চিঠি নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন।”

XS
SM
MD
LG